সিলেটের ৩ উপজেলায় যাচ্ছে সরকারী ত্রাণ

নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সিলেটের সবকটি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চল ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে নতুন করে জনপদ তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পিয়াইন ও সারী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে গোয়াইনঘাটের বিভিন্ন এলাকায় ঢুকে পড়েছে। তলিয়ে গেছে উপজেলার সবকটি হাওর। উপজেলার পূর্ব জাফলং, আলীরগাঁও, রুস্তুমপুর, ডৌবাড়ি, লেঙ্গুড়া, তোয়াকুল ও নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের প্রায় অর্ধেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। গোয়াইনঘাট-সারিঘাট, গোয়াইনঘাট-সালুটিকর, হাতিরপাড়া-ফতেহপুর সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলা শহরের সাথে ওই এলাকার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

চেঙ্গেরখাল নদীর পানি উঠে প্লাবিত হয়েছে সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের বাউয়ারকান্দি, বাইশটিলা, যুগলটিলা, ছামাউরাকান্দি, নীলগাঁওসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ।

ধলাই নদীর পানিতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সদর, তেলিখাল, টুকেরবাজারসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।

একইভাবে জৈন্তাপুরে সারি নদীর পানিতে প্লাবিত হয়েছে উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম।

বন্যায় বেশী ক্ষতিগ্রস্ত এই তিন উপজেলায় সরকারী ত্রাণ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আজই সেগুলো বন্যার্তদের হাতে গিয়ে পৌছাবে বলে জানিয়েছেন সিলেটের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক মীর মো. মাহবুবুর রহমান।

তিনি জানান- বন্যা আক্রান্ত তিনটি উপজেলার জন্য ৩৬ মেট্রিক টন ত্রাণ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে গোয়াইনঘাটে ১৮ মেট্রিক টন, জৈন্তাপুরে ১০ মেট্রিক টন ও কোম্পানীগঞ্জে ৮ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এদিকে, সুরমা ও কুশিয়ারার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জকিগঞ্জ ও ওসমানীনগরে নদীভাঙনের শঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

এছাড়া বন্যা কবলিত তিন উপজেলায় ত্রাণ বরাদ্দ দেয়া ছাড়াও বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

এ বিভাগের অন্যান্য