শাবির উন্নয়নে ৯৮৭ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
নিউজ ডেস্ক: জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) ২০১৯-২০ অর্থবছরের ১ম সভায় সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়নের জন্য ৯৮৭ কোটি ৭৯ লাখ টাকার উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) এর সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এসব প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেন শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
- ১০ তলা বিশিষ্ট ৪টি একাডেমিক ভবন।
- ১০ তলা বিশিষ্ট ২টি আবাসিক হল।
- গ্র্যাজুয়েট ও বিদেশী ছাত্রদের জন্য ১টি ৭ তলা হোস্টেল।
- শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য ১১তলা ৪টি আবাসিক ভবন।
‘শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকর উন্নয়ন (২য় পর্যায়)’ নামে এই প্রকল্পটি পাশ হয়। প্রকল্পটিকে ২০টি অংশে ভাগ করা হয়েছে। তার মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ১০ তলা বিশিষ্ট ২টি আবাসিক হল, গ্র্যাজুয়েট ও বিদেশী ছাত্রদের জন্য ১টি ৭ তলা হোস্টেল, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য ১১তলা বিশিষ্ট ৪টি আবাসিক ভবন নির্মাণ, কর্মচারীদের জন্য ১০ তলা আবাসিক একটি ভবন নির্মাণ, ১০ তলা বিশিষ্ট ৩য় প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এতে ২১০০ জন শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা এবং ৫টি আবাসিক ভবন নির্মাণের ফলে প্রায় ২০০টি পরিবারের আবাসন ব্যবস্থা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া ১০ তলা বিশিষ্ট ৪টি একাডেমিক ভবন নির্মাণ, ১টি কেন্দ্রীয় ওয়ার্কশপ নির্মাণ, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজের জন্য ৬ তলা ভবন নির্মাণ, ১০ তলা বিশিষ্ট ১টি ক্লাব ভবন নির্মাণ, আবাসিক হলগুলোর মাঝে ৪ তলা বিশিষ্ট ১টি মসজিদ নির্মাণ, কেন্দ্রীয় গ্যারেজ বর্ধিত করণ, প্রধান সড়কের উভয় পাশে ১৫ মিটার স্প্যানের ২টি ব্রিজ এবং ৩৩/১১ কেভি ১০ এমভিএ বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের কাজ ২০২২ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ পাল্টে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক সমস্যা দূর হবে। ক্লাস রুম এবং ল্যাব সমস্যা দূর হবে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে বিশ^বিদ্যালয়ের সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
প্রকল্প অনুমোদন দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান উপাচার্য।