সিলেট কমার্স কলেজ ও সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত
আজ সকাল ১০ ঘটিকায় মুহিবুর রহমান একাডেমি ক্যাম্পাসে সিলেট কমার্স কলেজ ও সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজের একাদশ শ্রেণির ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। হাজারো নবাগত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পদচারণায় সকাল থেকেই মুহিবুর রহমান একাডেমি ক্যাম্পাস মুখরিত হয়ে ওঠে। সকাল ১০ ঘটিকায় মামুন সুলতান ও ফারজানা এলাহি রোমেনার যৌথ উপস্থাপনায় পবিত্র কোরআন ও গীতা পাঠের মাধ্যমে প্রোগামের শুভ সূচনা হয়। কোরআন তেলাওয়াত করেন সিলেট কমার্স কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. ইমাদ উদ্দিন আইমান এবং গীতা পাঠ করেন সুজিমল দাস সূর্য়। দুই কলেজের শিক্ষর্থীদের জতীয় সংগীত ও কলেজ সংগীত পরিবেশনা শেষ হলে নবীনদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় কলেজ দুইটির দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন দুই কলেজের রেক্টর জনাব শামসুর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ইডেন গার্ডেন স্কুল এন্ড কলেজেরে রেক্টর জনাব আ.ন.ম ইয়াহইয়া। দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মারজানা বেগম আঁখি ও রেজওয়ানা ইসলাম হৃদি। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন এ. এম শাহরিয়ার আজিজ রাহি ও রুম্মান আহমেদ। নবাগত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অনুভূতি ব্যক্ত করেন সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজের নবাগত শিক্ষার্থী ফাতেমা জান্নাত স্মৃতি ও সিলেট কমার্স কলেজের নবাগত শিক্ষার্থী তাবাস্সুম আজাদ জিনিয়া। সিলেট কমার্স কলেজের শিক্ষকদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে বক্তব্য রাখেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জনাব মো. হারুন মিয়া এবং সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজের শিক্ষকদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ জনাব মু.মু.র বুলবুল। মুহিবুর রহমান একাডেমির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শামছ উদ্দিন একাডেমির শিক্ষকদের সাথে নিয়ে নবাগত শিক্ষর্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। একাডেমির পরিচয় তুলে ধরেন উপাধ্যক্ষ জনাব মো. ইমদাদ উদ্দিন। নবাগত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের পক্ষ থেকে তিন জন অভিভাবক বক্তব্য রাখেন এবং সন্তোষ প্রকাশ করেন।
স্মতিচারণমূলক দীর্ঘ বক্তব্য রাখেন সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের এ্যাসিসটেন্ট প্রফেসর প্রণবকান্তি দেব। মুহিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের সাথে তাঁর নিবিড় সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে বলেন, ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জনাব মুহিবুর রহমান প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার মান-উন্নয়নে যেখানে দীর্ঘ রাত-অবধি কাজ করেন সেখানে শিক্ষক-কর্মকর্তারা কীরকম কাজ করেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তিনি কলেজগুলোর অতীত গৌরবময় ইতিহাসের কথা উল্লেখ করে বলেন, আজ যারা নতুন তাদের ইতিহাস গড়ার সময়।
মুহিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের মাননীয় চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ মুহিবুর রহমান ফাউন্ডেশন পরিচালিত সিলেট কমার্স কলেজ ও সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজের সার্বিক দিক তুলে ধরে ফাউন্ডেশন পরিচালিত অন্য দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মুহিবুর রহমান একাডেমি ও ইডেন গার্ডেন স্কুল এন্ড কলেজের পরিচিতি তুলে ধরেন।জনাব মুহিবুর রহমান প্রতিষ্ঠানগুলোর অতীত সাফল্যের ইতিহাস তুলে ধরলে নবাগত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকগণ উল্লাসে ফেটে পড়েন। মুষলধারার মতো ধ্বনিত হতে থাকে করতালি। মানসম্মত শিক্ষাদানে কলেজগুলোর কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরার পাশাপাশি তিনি শিক্ষর্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য অভিভাবকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন। মুহিবুর রহমান যখন তাঁর দীর্ঘ বক্তব্য রাখছিলেন তখন পুরো সভাস্থল জুড়ে ছিলো পিনপতন নীরবতা। তাঁর বক্তব্য শেষ হলে স্বতোপ্রণোদিত হয়ে অনেক অভিভাবক মঞ্চে চলে আসেন এবং তাঁদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। তাঁরা বলেন, আমরা আমাদের সন্তানদের সিলেট কমার্স কলেজ ও সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজে ভর্তি করিয়ে অত্যন্ত সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করি এই দুই কলেজ অতীতের অনেক শিক্ষার্থীর মতো আমাদের সন্তানদেরও ভাবিষ্যতের ভিত গড়ে দেবে, আমাদের স্বপ্ন পূরণ হবে।