ফেরদৌস, নূরের প্রচারণা জিতলেন তৃণমূলের এক প্রার্থী, হারলেন অন্যজন
বাংলাদেশী নায়ক ফেরদৌস নির্বাচনী প্রচারণায় যুক্ত হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালের পক্ষে। আরেক অভিনেতা গাজী আবদুন নূর প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সৌগত রায়ের। ফলে দু’জনেরই ভিসা বাতিল করে ভারত। কালো তালিকাভুক্ত করা হয় তাদের। তারা যে দু’জনের পক্ষে প্রচারণায় নেমেছিলেন তার মধ্যে একজন জিতেছেন নির্বাচনে। অন্যজন হেরেছেন। এ খবর দিয়েছে ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য স্টেটসম্যান।
পশ্চিমবঙ্গের রায়গঞ্জ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন কানাইয়ালাল আগরওয়াল। তার পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেন ফেরদৌস। কিন্তু সেই কানাইয়ালাল হেরে গেছেন। অন্যদিকে দমদম থেকে নির্বাচন করেছেন সৌগত রায়। তার পক্ষে নেমেছিলেন গাজী আবদুন নূর। এ আসনে সৌগত বিজয়ী হয়েছেন। তিনি এ আসনের বর্তমান এমপি। বিজেপির প্রার্থী শমিক ভট্টাচার্য্যকে তিনি পরাজিত করেছেন ৫৩ হাজার ২ ভোটে। ২০১৪ সালের তুলনায় এই ব্যবধান এবার অনেকটাই কমেছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে সৌগত তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে এক লাখ ৫৪ হাজার ৯৩৪ ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন। আর এবার সেই ব্যবধান ৫৩ হাজার ভোট প্রায়। অর্থাৎ ৫ বছরে সৌগতর ভোটের ব্যবধান কমেছে শতকরা ৬৬ ভাগ।
রায়গঞ্জ আসনে কানাইয়ালালের পক্ষে টলিউড অভিনেতা অঙ্কুশ ও পায়েলের সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন ফেরদৌস। সেখানে বিজেপির প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরীর কাছে হেরে গেছেন তৃণমূলের কানাইয়ালাল। দেবশ্রী ৬০ হাজার ৫৭৪ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। এই আসনে ২০১৪ সালের নির্বাচনে জিতেছিলেন কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মার্কসিস্ট) নেতা মোহাম্মদ সেলিম। ওই সময় সেলিম এই আসনে বিজয়ী হয়েছিলেন ১৬৩৪ ভোটে। কিন্তু এবার সিপিআই(এম) শুধু এই আসনেই নয়, পুরো পশ্চিমবঙ্গ থেকেই বিদায় নিয়েছে।
এবার লোকসভা নির্বাচনে বাংলাদেশী দুই অভিনেতার বিষয়টি ছিল পশ্চিমবঙ্গে বড় আলোচনার বিষয়। বাংলাদেশের ছবিতে এবং ভারতের টলিউডের বাংলা ছবিতে উভয় ক্ষেত্রেই ভীষণ জনপ্রিয় নায়ক ফেরদৌস আহমেদ। অন্যদিকে ভারতের বাংলা টেলিভিশন সিরিয়ালে জনপ্রিয় মুখ গাজী আবদুন নূর। তারা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ার কারণে মধ্য এপ্রিলে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। বিষয়টি গড়ায় ভারতের নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত। অন্যদিকে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফেরদৌসকে ভারত ছাড়তে নির্দেশ দেয় এবং তাকে কালো তালিকাভুক্ত করে। একই রকম ব্যবস্থা নেয়া হয় আবদুন নূরের ক্ষেত্রেও।
মানবজমিন