বিশ্বে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির ৫টি দেশের মধ্যে তৃতীয় বাংলাদেশ
বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধশীল অর্থনীতির ৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে তার অবস্থান ধরে রেখেছে। বর্তমানে বর্ধনশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। গতকাল বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের উন্নয়ন আপডেট রিপোর্ট প্রকাশ করে। সেখানে বাংলাদেশের অর্থনীতির গতিমুখ পর্যালোচনা করে এ তথ্য দেয়া হয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশের দেশজ উৎপাদনের হার (জিডিপি) হতে পারে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। উল্লেখ্য, এশিয়ান ডেভলাপমেন্ট ব্যাংক বুধবার পাকিস্তানের জিডিপির পূর্বাভাসে বলেছে তাদের বৃদ্ধির হার হবে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। বাংলাদেশের এই প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন,ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পের অগ্রগতি, রপ্তানি বৃদ্ধি. মেগা প্রকল্প, বিদ্যুৎখাতের উন্নয়ন, ভাল ফসল হওয়ায় বাংলাদেশের অর্থনীতির এই উন্নয়ন হয়েছে। তিনি সরকারের প্রত্যাশিত ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির বিষয়টিও উড়িয়ে দেননি। তিনি বলেন, আমরা দেশের প্রধান অর্থনৈতিক সূচকগুলোরআলোকে জিডিপির হার নির্ধারণ করেছি। কিন্তু সরকার হয়তো আরো একটু অগ্রসর হয়ে চিন্তা করেছে। আচমকা অনেক ঘটনাই ঘটে যা অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে। যেমন যদি একটা বড় প্রকৃতিক দুর্যোগ হয় তবে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কমে যাবে। আবার বিশ্বে কমোডিটি পণ্যের মূল্য কমে গেলে সেখানেই বাংলাদেশের জিডিপি ৮এর চেয়েও বেশি হয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে যাওয়ার যে পরিকল্পনা করেছেতাতে প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ থাকলেও চলবে। কিন্তু প্রবৃদ্ধিকে হতে হবে টেকসই।
বাংলাদেশ ছাড়া বাকি দ্রুত বর্ধনশীল অন্য ৪টি দেশ হলো, ইথিওপিয়া, তাদের বৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৯ শতাংশ, দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রুয়ান্ডা, বৃদ্ধি হলো ৭ দশমিক ৬ শতাংশ। চুতর্থ অবস্থানে রয়েছে ভারত তাদের বৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ। ৫ম অবস্থানে রয়েছে আইভরি কোস্ট তাদের প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ১ শতাংশ।
বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি টেকসই রাখতে সংস্কারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার তাগিদ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি মনে করে, ব্যাংক খাত ও রাজস্ব খাত। জাহিদ হোসেন ব্যাংক খাতে শঙ্কার কথা উল্লেখ করে বলেন, খেলাপি ঋণ বাড়লে ব্যাংক মূলধন ঘাটতিতে পড়ে। এতে ঘূর্ণিঝড় নয়, ব্যাংকখাতে মেঘ ঘনীভূত হচ্ছে।এভাবে চললে যেকোন সময় দুর্যোগের মুখোমুখি হবে ব্যাংক। তিনি ঋণ পুন তফশিলের বিষয়ে বলেন, যারা সত্যিকার অর্থেই ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না তাদের ঋণ পুণতপশিল করা যায়। কিন্তু যাদের বারবার পুনতফশিল করার পরেও ঋণ পরিশোধ করছে না। তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। রাজস্ব খাতের বিষয়ে বলেন, গত ১৬ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম রাজস্ব আদায় হয়েছে এই বছর। ফলে সরকারের বাজেট ঘাটতি বাড়বে। যদিও ঘাটতি ৫ শতাংশের মধ্যেই থাকবে। ঘাটতি পূরণে সঞ্চয়পত্রের উপর নির্ভরশীলতা বেড়েছে। ব্যাংক রেগুলেটর ক্ষমতা বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে রাখার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। ব্যাক্তিখাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি হচ্ছে না। ডলারের বিপরীতে টাকাকে জোর করে বেশি রাখা হচ্ছে। সুদের হার উঠলে আর নামে না। সব ব্যাংককে এক পাল্রঅয় মাপলে হবে না। সরকারি ব্যাংকে খেলাপী বেশি। অর্থনীতিতে সবচেয়ে সমস্যায় রয়েছে মাঝারি শিল্প। বড় শিল্প ম্যানেজ করতে পারে। ছোটরা এসবের ধারধারে না। রাজস্ব প্রশাসনের দক্ষতার অভাব। মানব সম্পদ উন্নয়নে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাত। ৩৬ শতাংশ মানুষ অপুষ্টিতে ভ’গছে। ব্যবসায়ীরা বিপদে পড়লে কোথা থেকে উদ্ধার পাবে এর কোন অথরিটি নেই। আইন প্রয়োগকারীর ক্ষমতা অনেব বেশি। ব্যবসার আইনগুলো বোঝতে সমস্যা হয়।আইন প্রয়োকারী সংস্থার কোন জবাবা দিহিীতা নেই। কোন এস আরও করার আগে ব্যবসায়ীদের জানানো হয়না। বাংলাদেশে ব্যবসার ক্সতি পুরণে কোন ইন্সুরেন্স নাই। বিশ্বব্যাংকের অর্থনেতিক আপডেটে এই সুপারিশ গুলো করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ছাড়া বাকি দ্রুত বর্ধনশীল অন্য ৪টি দেশ হলো, ইথিওপিয়া, তাদের বৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৯ শতাংশ, দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রুয়ান্ডা, বৃদ্ধি হলো ৭ দশমিক ৬ শতাংশ। চুতর্থ অবস্থানে রয়েছে ভারত তাদের বৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ। ৫ম অবস্থানে রয়েছে আইভরি কোস্ট তাদের প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ১ শতাংশ।
বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি টেকসই রাখতে সংস্কারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার তাগিদ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি মনে করে, ব্যাংক খাত ও রাজস্ব খাত। জাহিদ হোসেন ব্যাংক খাতে শঙ্কার কথা উল্লেখ করে বলেন, খেলাপি ঋণ বাড়লে ব্যাংক মূলধন ঘাটতিতে পড়ে। এতে ঘূর্ণিঝড় নয়, ব্যাংকখাতে মেঘ ঘনীভূত হচ্ছে।এভাবে চললে যেকোন সময় দুর্যোগের মুখোমুখি হবে ব্যাংক। তিনি ঋণ পুন তফশিলের বিষয়ে বলেন, যারা সত্যিকার অর্থেই ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না তাদের ঋণ পুণতপশিল করা যায়। কিন্তু যাদের বারবার পুনতফশিল করার পরেও ঋণ পরিশোধ করছে না। তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। রাজস্ব খাতের বিষয়ে বলেন, গত ১৬ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম রাজস্ব আদায় হয়েছে এই বছর। ফলে সরকারের বাজেট ঘাটতি বাড়বে। যদিও ঘাটতি ৫ শতাংশের মধ্যেই থাকবে। ঘাটতি পূরণে সঞ্চয়পত্রের উপর নির্ভরশীলতা বেড়েছে। ব্যাংক রেগুলেটর ক্ষমতা বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে রাখার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। ব্যাক্তিখাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি হচ্ছে না। ডলারের বিপরীতে টাকাকে জোর করে বেশি রাখা হচ্ছে। সুদের হার উঠলে আর নামে না। সব ব্যাংককে এক পাল্রঅয় মাপলে হবে না। সরকারি ব্যাংকে খেলাপী বেশি। অর্থনীতিতে সবচেয়ে সমস্যায় রয়েছে মাঝারি শিল্প। বড় শিল্প ম্যানেজ করতে পারে। ছোটরা এসবের ধারধারে না। রাজস্ব প্রশাসনের দক্ষতার অভাব। মানব সম্পদ উন্নয়নে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাত। ৩৬ শতাংশ মানুষ অপুষ্টিতে ভ’গছে। ব্যবসায়ীরা বিপদে পড়লে কোথা থেকে উদ্ধার পাবে এর কোন অথরিটি নেই। আইন প্রয়োগকারীর ক্ষমতা অনেব বেশি। ব্যবসার আইনগুলো বোঝতে সমস্যা হয়।আইন প্রয়োকারী সংস্থার কোন জবাবা দিহিীতা নেই। কোন এস আরও করার আগে ব্যবসায়ীদের জানানো হয়না। বাংলাদেশে ব্যবসার ক্সতি পুরণে কোন ইন্সুরেন্স নাই। বিশ্বব্যাংকের অর্থনেতিক আপডেটে এই সুপারিশ গুলো করা হয়েছে।