কবি-সাহিত্যিকদের রচনা সমাজের মূল চিত্রকে তুলে ধরে
একুশে বইমেলায় প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘মৃন্ময়ী’র মোড়ক উন্মোচন
একুশে বইমেলায় প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘মৃন্ময়ী’র মোড়ক উন্মোচনে বক্তারা বলেছেন কবি-সাহিত্যিকদের রচনা সমাজের মূল চিত্রকে তুলে ধরে এবং এটিই জীবনবোধের জন্ম দিয়ে থাকে। কবিরা স্বপ্নচারি। পরিলক্ষিত হচ্ছে। একটি জাতি তার নিজ ইতিহাস-ঐতিহ্য যত বেশি জানবে সে জাতি তত উৎকর্ষ সাধন করতে পারে। সাহিত্যের সাথে মানুষের সুগভীর সর্ম্পক। সাহিত্য উড়িয়ে দেয়, জীবনের বিষণœতাকে। সাহিত্য ছাড়া মানুষ চলতে পারে না। সাহিত্যের মাঝে মানুষের সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্না, ব্যথা-বেদনা, মান-অভিমান, মায়া-মমতা ও ভালোবাসা প্রকাশ পায়। ব্যক্তি, সমাজ, জাতি ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ব্যাপক আলোড়ন তুলেন। গত ২২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় গন্থমেলায় কাব্যগ্রন্থ ‘মৃন্ময়ী’র মোড়ক উন্মোচনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা সাহিত্য অন্যতম কবি নির্মলেন্দু গুণ ও লেখক , শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। বক্তারা বলেন, কাব্যগ্রন্থ ‘মৃন্ময়ী’ যুগের ইতিহাস হয়ে কালের স্বাক্ষী হবে। আজকের তরুণ লেখকরা অনেক ভালো কাজ করছে। কবি মিজাহারুল ইসলাম আগামিতে ভালো করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বক্তারা বলেন, সাহিত্যেই জীবন ও সমাজের প্রতিচ্ছবি। সাহিত্যিকেরা ইতিহাস, ঐতিহ্য, সভ্যতা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি-কালচার, মানবতাবোধ এবং পৃথিবীর করুণ আর্তনাদ তুলে ধরার চেষ্টা করেন। কবি ও সাহিত্যিকেরা মনের উৎকর্ষ সাধন করে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনের আঁকা-বাঁকা চড়াই-উতরাই পথ পেরিয়ে আবিষ্কার করেন সম্ভবনার নতুন দিগন্ত। সেই দিগন্তের দৃষ্টিভঙ্গি, চিন্তা-চেতনায় নতুন পথ আবিষ্কার করেন। এটাই দেশ ও জাতির কাছে মহত্ত্ব। সাহিত্যের জন্ম মানুষের ভাষা থেকে। ভাষা হলো জীবনের ব্যাকরণ। সবার আগে ব্যাকরণকে জীবন্ত করতে হবে। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব ফারুক আহমেদ (কেবিনেট ডিভিশন), মন্ত্রি পরিষদের উপ-সচিব মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে সালিক রুমাইয়া, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজ্জাদুল হাসান, বাংলাদেশ রেজিস্ট্রেশন সার্ভিস এসোসিয়েশান এর সাধারণ সম্পাদক কায়সার আহমেদ, চিত্রনাট্য পরিচালক সোহেল আরমান, চিত্রনাট্য পরিচালক শাফিউল আলম শামিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি ডাইরেক্টর (প্রশাসন) মো. শামীম তারিক মোহাম্মদ আলী, দি সিটি ব্যাংক এর ভিপি জাহিম উদ্দিন,বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আল আমীন প্রমুখ।