বিশ্বনাথ উপজেলায় নুনু মিয়া কে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চায় উপজেলাবাসী
পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে মাঠে তৎপর রয়েছে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগ। গেল দু’টি সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী না থাকায় অনেকটা নির্জীব নেতাকর্মীদের মধ্যেও উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।এদিকে
আসন্ন বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাচনের মহাযজ্ঞকে সামনে রেখে নির্বাচনী প্রার্থীদের প্রচারণা বাড়ছে। একই সাথে ভোটাররাও বিগত নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের হিসাব-নিকাশও শুরু করে দিয়েছেন এলাকাবাসী জানাচ্ছেন এবার ভোট প্রয়োগে ভোটারগণও থাকবেন সচেতন। এলাকার সঠিক উন্নয়নের স্বার্থে সঠিক প্রার্থীকে ভোট দেবেন তাঁরা।উপজেলা নির্বাচনে বিশ্বনাথ উপজেলায় নিজ দলের হেভিওয়েট মনোনয়ন প্রত্যাশীদের চ্যালেঞ্জ জিতে চূড়ান্ত নির্বাচনী লড়াইয়ে নামতে হবে অনেকে । বিশেষ করে এ উপজেলায় ডজনখানেক চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্য আওয়ামীলীগের হেভিওয়েট সিলেজ জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও সমবায় ব্যাংকের পরিচলাক বিশিষ্ট সমাজসেবক এস.এম.নুনু মিয়া এগিয়ে রয়েছেন বলে জানান স্থানীয়রা।
জানাযায় গতকাল তিনি এলাকায় গণসংযোগকালে এলাকার মানুষ অনুতপ্ত হয়ে বলেন দীর্ঘ দিন জনবান্ধব জনপ্রতিনিধি না থাকায় বিশ্বনাথের মানুষ অনেক সুযোগ সুবিধা থেকে বিভিন্নভাবে বঞ্চিত হয়েছে, এসময় নুনুমিয়া তাদের কে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন তাকে ভোট দিয়ে এলাকার খেদমত করার জন্য প্রত্যাশা করেন, তার কথায় বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় জনতা তাকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে গণসংযোগস্থল
ইতোমধ্যে দলীয় নির্দেশনা মোতাবেক চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জনকে বাছাই করেছে দলটি। এসব প্রার্থীর পক্ষে জনমত তৈরিতে প্রচারণা চালাচ্ছেন নেতাকর্মীরা।
নৌকার পক্ষে ভোট টানতে দলের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা রাত-দিন মাঠ-ঘাট চষে বেড়াচ্ছেন।
তবে নির্বাচন নিয়ে নিরুত্তাপ বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপি। প্রচার-প্রচারণায় মাঠে নেই দলটির নেতাকর্মীরা। এখনও হয়নি দলীয়ভাবে প্রার্থী নির্ধারণ।
দলীয় সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে দলটি। তবে, ফেসবুকে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন কেউ কেউ। দলীয় প্রতীকের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মধ্যেই মূল
লড়াই হবে বলে মনে করছেন অনেকেই।
জানা গেছে, দলীয় নির্দেশনা মোতাবেক চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জনকে প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। জেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরীর উপস্থিতিতে দলটির বিশেষ বর্ধিত সভায় ওই আটজনকে বাছাই করা হয়। বাছাই করা ৮ জন প্রার্থীর মধ্য থেকে তিনটি পদের জন্যে ৩ জনকে চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন প্রদান করবে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।
উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ৭২টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সমর্থনের প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান পদে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য এসএম নুনু মিয়া, বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমদ ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলতাব হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু, উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ফজর আলী মেম্বার ও যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম শামীম এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিয়াম ল্যাবরেটরি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের প্রিন্সিপাল মনি কাঞ্চন চৌধুরী ও জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত উদ্যোক্তা রুবা খানমকে প্রার্থী নির্ধারণ করা হয়।
অন্যদিকে, নির্বাচনের কোন আমেজ নেই উপজেলা বিএনপিতে। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা না থাকায় দলীয়ভাবে এখনও হয়নি প্রার্থী নির্ধারণ। উপজেলা নির্বাচন নিয়ে দলের কোন সিদ্ধান্ত না আসায় মাঠেও নামতে পারছেন না তারা। উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপির হলেও আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে নিষ্ক্রীয় দলের নেতাকর্মীরা। এখনও মাঠে প্রচার-প্রচারণায় দেখা যায়নি তাদের।
তবে উপজেলা পরিষদের বর্তমান দায়িত্বশীল বিএনপি নেতারা কৌশলে নিজেদের প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আদৌ বিএনপি অংশ নিবে কি না? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে উপজেলা বিএনপিতে। দল অংশ না নিলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপি নেতারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। তবে, আপাতত প্রার্থী হিসেবে নাম উঠেছে ‘নিখোঁজ’ বিএনপি নেতা এম. ইলিয়াস আলীর ছোট ভাই কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এম. আসকির আলী, বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সুহেল আহমদ চৌধুরী, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আহমেদ নূর উদ্দিনের।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা বিএনপি সভাপতি জালাল উদ্দিন বলেন, আমরা দলীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়। দল সিদ্ধান্ত দিলে অবশ্যই আমরা প্রতিদ্বন্ধিতা করবো।
যদি দল অংশ না নেয়? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তখন সময়ই বলে দেবে আমাদের করণীয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, দলের নির্দেশনানুযায়ী প্রার্থী বাছাই করে পাঠানো হয়েছে। আমরা নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি করতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। বাছাইকৃতদের মধ্যে দল যাদেরই মনোনীত করবে আমরা তাদের বিজয় সুনিশ্চিত করতে প্রস্তুত রয়েছি। আমরা আশা করি, গত সংসদ নির্বাচনের মতো এবারের উপজেলা নির্বাচনেও সারাদেশে নৌকার বিজয় হবে ইনশাআল্লাহ।