মাঠে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা, সিদ্ধান্তহীনতায় বিএনপি
বহুল প্রত্যাশিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হতে না হতেই আর একটি নির্বাচনের শিতল হাওয়া বইতে শুরু করেছে সারাদেশে। ব্যস্তময় একটি নির্বাচন সম্পন্ন করার পর দেশবাসী আরেকটি নির্বাচনের আমেজে মগ্ন হওয়ার প্রচেষ্টায়। আর উৎসব আমেজ নির্ভর আরেকটি নির্বাচন হচ্ছে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০১৯। নির্বাচন কমিশনের বার্তা অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারীতে তফসিল এবং মার্চেই নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।আর তাই সারা দেশের ন্যায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শুরু হয়েছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের ছড়াছড়ি। আর তাই সম্ভাব্য প্রার্থীরা উপজেলার প্রতিটি গ্রামে গ্রামে পুরোদোমে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার প্রচারণা। প্রচার কাজের পাশাপাশি ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তৃণমূল নেতৃবৃন্দের সমর্থন আদায়ের জন্য।
উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে শিতল হাওয়া লক্ষ্য করা গেলেও বিএনপির ভিতরে গভীর হতাশা ও মতপার্থক্য, ও সিদ্ধান্তহীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।উপজেলা নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করবে কিনা সেটা নিয়ে এখনও রয়েছে তাদের নানা বাধা দ্বিধা বিভক্তি ।একাদশ সংসদ নির্বাচনের মত উপজেলা নির্বাচনেও বিপুল ভোটে নির্বাচিত হতে পুরোদমে মাঠে নেমে পরেছে আওয়ামীলীগ। তবে বিএনপিও ছাড় দেয়ার পাত্র নয়।দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে চান অনেকেই। তারা দলীয় মনোনয়ন পেতে নিরলসভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের কার্যক্রম।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুনামগঞ্জ সদর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও হাজী আবুল কালাম। সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এডভোকেট বুরহান উদ্দিন দোলন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুর রহমান সিরাজ, পশ্চিম পাগলা ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল আলম নিক্কু,জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ মিয়া, শিমুলবাঁক ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জিতু, জেলা পরিষদ সদস্য জহিরুল ইসলাম জহুর ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফজলে রাব্বি স্মরণ,নোয়াখারী বাজার বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক,সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রুকনুজ্জামান সহ নির্বাচন করতে মাথাচাড়া দিয়ে উখি না দেয়া অনেকে।
বিএনপি যদিও নির্বাচন করবে কিনা তা নিয়ে মতবিরোধ তবুও বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীর আংশিক তালিকায় নাম রয়েছে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক মিয়ার।এছাড়াও জমিয়তের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা তৈয়বুর রহমান।আর এমন তুমুল আলোচনা ও সমালোচনার মধ্যে জনগন আছে নির্বাচনের প্রত্যাশায়। শেষ পর্যন্ত দেখা যাক কার ভাগ্যে কি ঘটে;এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।