যেভাবে আওয়ামী লীগের আমলে উন্নয়নের মহাসড়কে সিলেট

যেভাবে আওয়ামী লীগের আমলে উন্নয়নের মহাসড়কে সিলেট
মবরুর আহমদ সাজু

২০০৯ সালে সরকার গঠন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ওই সময়ে আশু করণীয়, মধ্য-মেয়াদি ও দীর্ঘ-মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে তারা। পরে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ করে করারর পাশাপাশি দশ বছর মেয়াদি প্রেক্ষিৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করে সরকার। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবারো জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। ধরে রাখে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা। ৯ বছর একটানা সরকারের দায়িত্বগ্রহণ করে বিশ্বব্যাপী মন্দা থাকা সত্বেও দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি অব্যাহত রাখতে সক্ষম আওয়ামী লীগ সরকার।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই উন্নয়নের মহাসড়কের উঠেছে দেশের উত্তর-পূর্ব এলাকার জনপদ সিলেট। বিগত ৯ বছরে সিলেটে যুগান্তকারী উন্নয়ন হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের হাত ধরে উন্নত হওয়া সিলেটে মেগা প্রকল্প থেকে শুরু করে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। অনেক উন্নয়ন প্রকল্প সিলেটবাসীর দাবির তালিকায়ও ছিল না। সিলেটকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী নিজেই এসব প্রকল্পের বাস্তবায়ন ঘটিয়েছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে সিলেট উন্নয়ন সম্পর্কে বলে দিতে হয় না। তিনি নিজ থেকেই অবিরামভাবে সিলেটের উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকারের রেখে যাওয়া উন্নয়ন সমাপ্ত করাই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। প্রায় হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু না করে, কেবল ঘোষণা দিয়েই বিদায় নিয়েছিল জোট সরকার। বর্তমান সরকার প্রথম দফা ক্ষমতায় আসার পর সিলেটে পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সুরমা নদীর উপর স্থাপিত কাজিরবাজার সেতু, গোলাপগঞ্জের কুশিয়ারায় স্থাপিত কুশিয়ারা সেতু, সুনামগঞ্জের সুরমায় স্থাপিত আব্দুজ জহুর সেতুর নির্মাণ কাজ শুররু করে। ‘জনস্বার্থ’ বিবেচনায় এ কাজগুলো প্রায় চার বছরের মধ্যেই সমাপ্ত করা হয়। এছাড়া সিলেটে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে শাহজালাল ফার্টিলাইজার ফ্যক্টরি নামে একটি মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়েছিল। প্রকল্পটির কাজ গত দুই বছর আগে শেষ হয়েছে। বর্তমানে ওই ফ্যাক্টরী উৎপাদনে রয়েছে। লন্ডন থেকে সিলেটে আসার সরাসরি বিমান যোগাযোগ বন্ধ করা হয়েছিল বিগত সরকারের শাসনে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার হিথ্রো থেকে সিলেটে সরাসরি বিমান যোগাযোগ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেন। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শত কোটি টাকা ব্যয়ে রিফুয়েলিং সিস্টেমস চালু করা হয়। বর্তমানে রানওয়ের শক্তিবৃদ্ধির জন্য ওই বিমানবন্দরে সাড়ে ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। সিলেট নগরীর পানি সমস্যা সমাধানে দুইশ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের পর কাজও সমাপ্ত করা হয়েছে। এছাড়া শতকোটি টাকা ব্যয়ে সিলেট নগর ভবনের নব ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়ক উন্নয়নে গ্রহণ করা ৪৫০ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ চলছে। সিলেটের ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তামাবিল স্থল বন্দরে ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেটের প্রথম স্থলবন্দর নির্মাণ করা হয়। এছাড়া সিলেটের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিককরণে তিন হাজার টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এই প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এত উন্নয়নের পরও সিলেটকে আরও উন্নত করে গড়ে তুলতে নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। এর মধ্যে বড় প্রকল্প হচ্ছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককে চার লেনে রূপান্তার। ৩৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই সড়ক পথটির উন্নয়নের জন্য প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করে চীনের সঙ্গে চুক্তি করে সরকার। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গেলো সপ্তাহে সিলেটে সফরকালে জানান, চীনের অর্থায়নে ওই সড়কের কাজ হবে না। দেশের অর্থে এ সড়কটি ফোর লেনে উন্নীত করার কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে শুরু হবে। চীনের সঙ্গে চুক্তিতে সিলেটের আরও একটি মেগা প্রকল্পে ছিল সিলেট থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ডাবল রেল লাইন নির্মান। চীনের চুক্তি থেকে সেটিও বাদ পড়েছে। এই প্রকল্পটি সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পের তালিকায় রয়েছে। এছাড়া সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রাসারনের একটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিণত করার দাবি ছিল সিলেটবাসীর। প্রায় দেড় বছর আগে সিলেটে সফরকালে প্রধানমন্ত্রী সিলেটে আরেকটি নতুন পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ঘোষণা দেন। তার ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এরইমধ্যে সিলেটে অর্থমন্ত্রীর পছন্দে সুনামগঞ্জ বাইপাস সড়কে স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পটি এখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ প্রধানমন্ত্রী সফর ও সিলেটের উন্নয়ন নিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী সিলেটে সফরকালে অনেক উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছেন যা বিগত সরকারের চেয়ে এগিয়ে। তিনি বলেন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার সিলেটে ৩৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার দুপুরে এখানে এসে পৌঁছেন।

প্রধানমন্ত্রী আলিয়া মাদরাসা মাঠে গতসময়ে ১৮টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন সেগুলো হলো- হযরত গাজী সৈয়দ বোরহান উদ্দিন (রহ.) মাজারে প্রায় ৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে মাজারের উন্নয়ন, মহিলা ইবাদতখানা নির্মাণ, মাজারের সৌন্দার্য্য বর্ধন এবং সংযোগ সড়কসহ যাতায়াতের প্রধান রাস্তার ২ কিলোমিটার প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১২-তলা ভিত্তির ওপর ৫-তলা নগর ভবন উদ্বোধন, সিলেট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬-তলাবিশিষ্ট চারতলা নতুন একাডেমিক কাম-প্রশাসনিক ভবন, সিলেটের দক্ষিণ সুরমার ফিরোজপুরে সার পরীক্ষাগার ও গবেষণাগার ভবন, বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জেলা অফিস ভবন, সিলেট বিভাগীয় ও জেলা এনএসআই কার্যালয় ভবন, সিলেট মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ও জকিগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত বাবুছড়ার আরসিসি ইউ-টাইপ ড্রেন নির্মাণ, জালালাবাদ রাস্তা সম্প্রসারণ ও এসফল্ট দ্বারা উন্নয়ন কাজ, সিলেট-সুনামগঞ্জ বাইপাস সড়ক উন্নয়ন, মৌলভীবাজার-রাজনগর-ফেঞ্চুগঞ্জ-সিলেট সড়ক ও রশিদপুর-বিশ^নাথ-লামাকাজি সড়কে ওভারলে কাজ, দরবস্ত-কানাইঘাট-শাহবাগ সড়ক মজবুতিকরণ ওভারলে কাজ, ঢাকা (কাঁচপুর)-ভৈরব-জগদ্বীশপুর-শায়েস্তাগঞ্জ- সিলেট-তামাবিল-জাফলং জাতীয় মহাসড়কের সিলেট-শেরপুর অংশের মজবুতিকরণ ওভারলে কাজ এবং শেরপুর টোল প্লাজা অংশে রিজিট প্যাভমেন্ট নির্মাণ কাজ, জকিগঞ্জ উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কামালবাজার ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্গত কানাইঘাট সড়ক ও কুইটুকে তিন তলা বিশিষ্ট প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সেন্টার ভবন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী যে ১৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজারের মহিলা ইবাদতখানা ও অন্যান্য উন্নয়ন কার্যক্রম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল নির্মাণ, গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে ১ হাজার অসনবিশিষ্ট ছাত্রাবাস, ছাত্রীনিবাস ও নার্সিং হোস্টেল নির্মাণ, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতাল ভবনের ৪-তলা থেকে ১০-তলা উর্ধ্বমূখী সম্প্রসারণ, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সিলেট সদর হাসপাতাল নির্মাণ, সিলেট পুলিশ লাইনে এসএমপি ব্যারাক ভবন ও অস্ত্রাগার নির্মাণ, কোতোয়ালী মডেল থানায় ১০-তলা ভিত্তির ওপর ৪-তলা ডরমিটরি ভবন নির্মাণ, সিলেট জেলার তামাবিলে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট (দ্বিতীয় পর্যায়ে) ৬-তলা ভিত্তির ওপর ৩-তলা ভবন নির্মাণ, সিলেটের দক্ষিণ সুরমার লালাবাজারে রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স (আরআরএফ) পুলিশ লাইন ভবন নির্মাণ, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধি শিশুদের জন্য ভবন নির্মাণ ও সম্প্রসারণ, বিশ^নাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ, বিভাগীয় পরিচালক (পরিবার পরিকল্পনা) ও জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস ভবন নির্মাণ, সিলেট-গোলাপগঞ্জ- চারখাই-জকিগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের ৬৫ কিলোমিটার উন্নয়ন, গোলাপগঞ্জ-ঢাকা দক্ষিণ-ভাদেশ^র ও চারখাই-শেওলা-বিয়ানীবাজার-বারইগ্রাম সড়কের উন্নয়ন।

দিন বদলের সনদ ঘোষণা দিয়ে গড়ে তোলেন ডিজিটাল বাংলাদেশ। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে জীবনমান সহজ করা এবং উন্নত করার উদ্যোগ নেয় সরকার। দেশে ১৩ কোটি মোবাইল সীম ব্যবহৃত হচ্ছে। ইন্টারনেট সার্ভিস প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। ৮ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল স্থাপন করে ব্যান্ডওয়াইথ বৃদ্ধি করা হয়েছে। গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত ব্রডব্যান্ড সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। বর্তমানে প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। সেখান থেকে জনগণ ২০০ ধরনের সেবা পাচ্ছেন। সকল ধরনের সরকারি ফরমস, জমির পর্চা, পাবলিক পরীক্ষার ফল, পাসপোর্ট-ভিসা সম্পর্কিত তথ্য, কৃষিতথ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আইনগত ও চাকুরির তথ্য, নাগরিকত্ব সনদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রক্রিয়া, ক্রয়-বিক্রয়সহ বিভিন্ন বিল প্রদানের সুবিধা জনগণ পাচ্ছেন। ঘরে বসে আউটসোর্সিং-এর কাজ করে অনেক তরুণ-তরুণী স্বাবলম্বী হয়েছে। বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে প্রবাসীরা আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন।

 

হযরত গাজী সৈয়দ বোরহান উদ্দিন (রহ.) মাজারে প্রায় ৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে মাজারের উন্নয়ন, মহিলা ইবাদতখানা নির্মাণ, মাজারের সৌন্দার্য্য বর্ধন এবং সংযোগ সড়কসহ যাতায়াতের প্রধান রাস্তার ২ কিলোমিটার প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১২-তলা ভিত্তির ওপর ৫-তলা নগর ভবন উদ্বোধন, সিলেট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬-তলাবিশিষ্ট চারতলা নতুন একাডেমিক কাম-প্রশাসনিক ভবন, সিলেটের দক্ষিণ সুরমার ফিরোজপুরে সার পরীক্ষাগার ও গবেষণাগার ভবন, বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জেলা অফিস ভবন, সিলেট বিভাগীয় ও জেলা এনএসআই কার্যালয় ভবন, সিলেট মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ও জকিগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত বাবুছড়ার আরসিসি ইউ-টাইপ ড্রেন নির্মাণ, জালালাবাদ রাস্তা সম্প্রসারণ ও এসফল্ট দ্বারা উন্নয়ন কাজ, সিলেট-সুনামগঞ্জ বাইপাস সড়ক উন্নয়ন, মৌলভীবাজার-রাজনগর-ফেঞ্চুগঞ্জ-সিলেট সড়ক ও রশিদপুর-বিশ^নাথ-লামাকাজি সড়কে ওভারলে কাজ, দরবস্ত-কানাইঘাট-শাহবাগ সড়ক মজবুতিকরণ ওভারলে কাজ, ঢাকা (কাঁচপুর)-ভৈরব-জগদ্বীশপুর-শায়েস্তাগঞ্জ- সিলেট-তামাবিল-জাফলং জাতীয় মহাসড়কের সিলেট-শেরপুর অংশের মজবুতিকরণ ওভারলে কাজ এবং শেরপুর টোল প্লাজা অংশে রিজিট প্যাভমেন্ট নির্মাণ কাজ, জকিগঞ্জ উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কামালবাজার ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্গত কানাইঘাট সড়ক ও কুইটুকে তিন তলা বিশিষ্ট প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সেন্টার ভবন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী যে ১৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজারের মহিলা ইবাদতখানা ও অন্যান্য উন্নয়ন কার্যক্রম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল নির্মাণ, গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে ১ হাজার অসনবিশিষ্ট ছাত্রাবাস, ছাত্রীনিবাস ও নার্সিং হোস্টেল নির্মাণ, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতাল ভবনের ৪-তলা থেকে ১০-তলা উর্ধ্বমূখী সম্প্রসারণ, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সিলেট সদর হাসপাতাল নির্মাণ, সিলেট পুলিশ লাইনে এসএমপি ব্যারাক ভবন ও অস্ত্রাগার নির্মাণ, কোতোয়ালী মডেল থানায় ১০-তলা ভিত্তির ওপর ৪-তলা ডরমিটরি ভবন নির্মাণ, সিলেট জেলার তামাবিলে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট (দ্বিতীয় পর্যায়ে) ৬-তলা ভিত্তির ওপর ৩-তলা ভবন নির্মাণ, সিলেটের দক্ষিণ সুরমার লালাবাজারে রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স (আরআরএফ) পুলিশ লাইন ভবন নির্মাণ, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধি শিশুদের জন্য ভবন নির্মাণ ও সম্প্রসারণ, বিশ^নাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ, বিভাগীয় পরিচালক (পরিবার পরিকল্পনা) ও জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস ভবন নির্মাণ, সিলেট-গোলাপগঞ্জ- চারখাই-জকিগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের ৬৫ কিলোমিটার উন্নয়ন, গোলাপগঞ্জ-ঢাকা দক্ষিণ-ভাদেশ^র ও চারখাই-শেওলা-বিয়ানীবাজার-বারইগ্রাম সড়কের উন্নয়ন

এ বিভাগের অন্যান্য