সিলেটের মাটিতে বাংলাদেশের সিরিজ জয়
ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে বড় জয় দিয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিল বাংলাদেশ। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারায় স্বাগতিকরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেয়া ১৯৯ রানের টার্গেট বাংলাদেশ টপকে যায় মাত্র ৩৮ ওভার ৩ বলে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ১৯৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু করেন দুই বাংলাদেশ ওপেনার। তামিম-লিটনের সাবাধানী শুরুতে ৪৫ রান তোলে দল। এরপর ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন দাস। পরে তামিম-সৌম্য গড়েন ১৩১ রানের বড় জুটি। এরপর দুরন্ত এক ইনিংস খেলে ফেরেন সৌম্য সরকার। শেষ তুলির আঁচড় দিয়ে ফেরেন তামিম-মুশফিক।
তামিম ৮১ রানে অপরাজিত থাকেন। তার সঙ্গী সৌম্য সরকার ফিরেছেন ৮০ রান করে। ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে লিটন দাস করেন ২২ রান। ব্যাটে মুশফিকুর রহিম করেন ১৬ রান।
এর আগে সিলেটে টস জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেছেন মেহেদী মিরাজ। দারুণ বোলিং করেছেন এই অফস্পিনার। ১০ ওভার স্পেলে মাত্র ২৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ক্যারিবীয়দের টপঅর্ডার।
মিরাজের শিকার হয়ে একে একে ফিরে যান ওপেনার চন্দরপল হেমরাজ (৯), ডারেন ব্রাভো (১০), শিমরন হেটমায়ার (০), রোভম্যান পাওয়েল (১)। মাঝে মারলন স্যামুয়েলসের (১৯) উইকেটটি নেন সাইফউদ্দিন।
৯৯ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর রস্টন চেজের সঙ্গে জুটি গড়ে ফাঁড়া কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছিলেন হোপ। কিন্তু বড় জুটি গড়ার আগেই চেজকে (৮) থামান সাকিব আল হাসান। এরপর ফাবিয়ান অ্যালেনকেও (৬) তুলে নেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
সাকিবের পর দৃশ্যপটে আসেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। কেমো পলকে (১২) সরাসরি বোল্ড করেন টাইগার অধিনায়ক। এরপর কেমার রোচকে ফেলেন এলবির ফাঁদে। ১৭৭ রানে ৯ উইকেট খুইয়ে বসে উইন্ডিজ।
তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়ে যেতে থাকেন হোপ। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলেও তিনি ছিলে অনড়। ১৩১ বলে ৯ বাউন্ডারি আর এক ছক্কায় খেলেছেন ১০৮ রানের হার না মানা ইনিংস। তার ব্যাটে ভর করেই মূলত ৫০ ওভার ব্যাটিং করে ১৯৮ থেমে যায় উইন্ডিজের ইনিংস।