কমার্স কলেজ পরিদর্শন করলেন জাতিসংঘের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আব্দুল মোমেন
সিলেটের স্বনামধন্য মানবসম্পদ উন্নয়ন শিক্ষা উদ্যোগ মুহিবুর রহমান ফাউন্ডেশন পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে ব্যপক সফলতা অর্জনকরায় জাতিসংঘস্থ বাংলাদেশ মিশনের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্টদূত, প্রফেসর এমিরেটাস ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সিলেটের মিরের ময়দানস্থ সিলেট কমার্স কলেজ, সিলেট বিজ্ঞান ও প্রুযুক্তি কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে ক্যম্পাসদ্বয় গতকাল বুধবার দুপুর ১২ টায় পরিদর্শন করছেন। পৃথক পৃথকভাবে পরিদর্শনকালে তিনি বলেন ‘আই কেন ডু, উই কেন ডু’ (আমি পারি, আমরা পারবো) এই স্লোগানকে সামনে রেখে তিনি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন মোটিভেশনাল (অনুপ্রেরণামূলক) বক্তব্য দেন।বুধবার দুপুরে তিনি নগরীর সিলেটের মিরের ময়দানস্থ কলেজদ্বয়ে যান।প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাকে স্বাগত জানান মুহিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মুহিবুর রহমান । সেখানে পৌঁছে পুরো ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে কলেজদ্বয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন এছাড়া তিনি কলেজদ্বয়ের লেখাপড়ার মান দেখতে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে যান এবং স্ব স্ব শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন । ড. মোমেন বলেন, জীবনে সফল হতে হলে বড় বড় স্বপ্ন দেখতে হবে। পাশাপাশি প্রচুর লেখাপড়া করতে হবে। কারণ, বিশ্বে যত মানুষই সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছেন তাদের স্বপ্ন ছিলো অনেক বড়। এককথায়, মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়।তিনি বলেন, সফলতার জন্য চ্যালেঞ্জ নিতে হয়। পৃথিবীর সফল ব্যক্তিরা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন, শত বাঁধা পেরিয়ে তারা ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন। তাই, চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার মতো মনমানসিকতা থাকতে হবে।শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পৃথিবীতে মানুষের জন্য কোন কিছুই অসম্ভব নয়। সবসময় মনেপ্রাণে ধারণ করতে হবে- আই কেন ডু, উই কেন ডু। বাঙালি জাতি একথা বারবার প্রমাণ করেছে।বাঙালি জাতিকে বীরের জাতি- আখ্যায়িত করে সাবেক এই কূটনীতিক ও শিক্ষাবিদ বলেন, কোন ক্ষেত্রেই আমরা পরাজিত হতে পারি না। বৃটিশ বিরোধি আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধসহ উপমহাদেশে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন আন্দোলনে বাঙালির ত্যাগ ও সফলতা উদাহরণ তুলে ধরেন তিনি। তিনি বলেন, সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই- মানবতার এই পরম বাণী আমরাই প্রথম বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছি। আমাদের দেশে এখনও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজমান। হিন্দু, মুসলিম, খ্রিষ্টান্দ, বৌদ্ধ- সবধর্মের মানুষ পাশাপাশি বসবাস করছে এবং ধর্ম-কর্ম পালন করছে। এটা আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য। পরষ্পরের প্রতি সবসময় শ্রদ্ধাবোধ, মমত্ববোধ এবং দেশপ্রেম ও মানবকল্যাণে নিজেদের নিবেদিত করার আহ্বান জানিয়ে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, একাত্তরে ৩০ লাখ জীবন ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এদেশ স্বাধীন হয়েছে। বিগত দিনে রাষ্ট্রীয় দুঃশাসনের কারণে সেই দেশ বিশ্বে দুর্নীতিতে সেরা হয়েছে। এটা এ জাতির জন্য চরম অপমানজনক বিষয়।মুহিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মুহিবুর রহমান বলেন প্রাইভেট পড়া কে না বলেন হাটি হাটি পা পা করে মুহিবুর রহমান ফিউন্ডেশনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো সিলেটে বৈচিত্রময় শিক্ষার সফল উদাহরণ হিসেবে শিক্ষাক্ষেত্রে যুগান্তকারী ফলাফল অর্জন করে থাকে এবং স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামিদিনের পথপদর্শক হয়ে থাকবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট কমার্স কলেজের রেক্টর মো. সামসুর রহমান. সিলেট কমার্স কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. হারুণ মিয়া, সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযক্তি কলেজের অধ্যক্ষ মু.রহমান বুলবুল সিলেট কমার্স কলেজের প্রভাষক সজিব দত্ত, আফজাল হোসাইন, ফাহিম কোরইশী,মবরুর আহমদ সাজু, সোলেইমান আহমদ সহ শিক্ষক শিক্ষিকাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।