লেজার নিয়ে যুগান্তকারী উদ্ভাবন পদার্থে নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী
পদার্থে নোবেল জয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এ বছর পদার্থে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানসূচক এ পুরস্কারে মনোনীত হয়েছেন তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন যুক্তরাষ্ট্রের পদার্থ বিজ্ঞানী আর্থার আশকিন, ফরাসী পদার্থবিজ্ঞানী জেরার্ড ম্যুরো ও কানাডার ডনা স্ট্রিকল্যান্ড।
আজ মঙ্গলবার রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি সুইডেনের স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১২টায় এ তিন বিজ্ঞানীর নোবেল জয়ের ঘোষণা দেয়।
রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি বলছে, লেজার নিয়ে যুগান্তকারী উদ্ভাবনের জন্য যৌথভাবে এ তিনজনকে পুরস্কার দেওয়া হলো।
নোবেল পুরস্কারের ৯০ লাখ সুইডিশ ক্রোনারের মধ্যে আশকিন পাবেন অর্ধেক। আর বাকি অর্ধেক মুরু ও স্ট্রিকল্যান্ড ভাগ করে নেবেন।
আগামী ১০ ডিসেম্বর সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
১৯০১ সালের পর থেকে নোবেল কমিটি এ পর্যন্ত ১১২ বার পদার্থে নোবেল পুরস্কার দিয়েছে। গত বছর মহাকর্ষীয় তরঙ্গ অনুসন্ধানের স্বীকৃতিস্বরূপ পদার্থের নোবেল যৌথভাবে পান জার্মান বংশোদ্ভূত রেইনার ওয়েইস ও মার্কিন দুই বিজ্ঞানী ব্যারি সি ব্যারিশ ও কিপ এস থোর্নে ।
এর আগে গতকাল চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়। এ পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী জেমস. পি. অ্যালিসন ও জাপানের তাসুকু হনজোর। নেতিবাচক ইমিউন নিয়ন্ত্রণে বাধাদানের মাধ্যমে ক্যান্সার থেরাপি আবিষ্কারের জন্য এই দুই চিকিৎসা বিজ্ঞানী যৌথভাবে এ বিশ্ব সম্মানে ভূষিত হলেন।
কাল বুধবার রসায়ন, শুক্রবার শান্তি এবং আগামী ৮ অক্টোবর অর্থনীতিতে এবারের নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
বিতর্কের মধ্যে এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি। ২০১৯ সালে সাহিত্যে দুটি পুরস্কার দেওয়া হবে। একটি ২০১৮ সালের জন্য অপরটি ২০১৯ সালের। সুইডিশ একাডেমির সদস্যদের #MeToo (যৌন কেলেঙ্কারি) স্ক্যান্ডাল ও অর্থনৈতিক অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ডায়নামাইটের আবিষ্কারক ও ব্যবসায়ী স্যার আলফ্রেড বার্নার্ড নোবেল ১৯০১ সালে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন। এরপর প্রতিবছর চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
দুই বিশ্বযুদ্ধের সময়ে কয়েক বছর করে বিরতির পরে চিকিৎসাবিজ্ঞানে এবার পর্যন্ত মোট ১০৯ বার দেওয়া হয়েছে নোবেল পুরস্কার। সর্বশেষ ২০১৭ সালে চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন তিন মার্কিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন, জেফ্রি হল, মাইকেল রসবাশ ও মাইকেল ইয়ং।