পাগলীটা ও মা হলো

মো.মিজাহারুল ইসলাম:

আমাদের ঐ বাজারে
থাকতো পাগলী হালিমা,
কাঁদতো সেতো অঁঝোরে,
ছিড়তো চুল আর জামা।

স্কুলে যাবার কালে
উল্ঠো পাল্ঠা কয়ে,
মারতে পারে ঢিলে,
কাটতো ভীষণ ভয়ে।

অলি গলি ঘুরে
যেতো দ্বারে দ্বারে,
ক্লান্তি যখন ধরে,
থাকতো রাস্তায় পরে।

একটুই খাবার চাইতো
পেটটি ভরে খেতে,
খাবার সেকি পাইতো?
থাকতে হতো হাভাতে।

রাত্রিতে ঘুমায় সেতো
দুঃখ কষ্ট নিয়ে,
সিঁথানটা উঁচুই রাখতো,
পুঠলী কাপড় দিয়ে।

হঠাৎ করে দেখি
পাগলী হল “মা”,
ফুটফুটে তার আঁখি,
যেন রূপের উপমা।

পাগলীটা তো মা হলো
বাবার নাম কেউ জানেনা,
শিশুটি তো মা পেল,
বাবাই তো কেউ হলোনা।

সেকি ভীষণ কানাকানি
ওরে বাপরে বাপ!
সন্তান সেতো জন্মায়নি,
জন্ম দিছে পাপ!

পাগলীটা দায়িত্ব নিলো
বাচ্চা শিশু মানুষ করলো,
একটু যখন বুদ্ধি হলো,
নাম পরিচয় জানতে চাইলো।

মা,বাবা আমার কে?
পাগলী মা জবাব দিলো,
বাবা নামের জায়গাটাতে,
ঈশ্বরের নাম লিখে দে!

তাং ১৭/০৯/১৮ খ্রীস্টাব্দ, সিলেট।

এ বিভাগের অন্যান্য