সংলাপ : মোঃ মিজাহারুল ইসলাম
আলাপ হচ্ছে বাবা ছেলের
বসে মাটির ঘরে,
কথা হচ্ছে মহা-কালের,
একটু নিচু স্বরে।
আচ্ছা-
যখন তোরা সবাই ধরে
মাটির ঘরে দিলে,
সবাই তোরা কাঁদলে ওরে?
কষ্ট পেয়ে ছিলে?
ভাঙেনি কি? হৃদয় তোদের-
হইস নে দিশেহারা?
বলেনি কেউ? বাবা মোদের,
দিবেনা আর সাড়া!
তোদের মায়ের মন খারাপ?
মুখ লুকিয়ে কাঁদে?
হচ্ছে কি তার অনুতাপ?
মরিবার’ ই সাধে৷
সে কি দিচ্ছে অভিশাপ?
লক্ষ কোটি যতো,
আমার লাগি চায়নি মাফ?
আমার’ই মতো।
কেমন আছে? তারা যারা
আমার বাড়ি আসতো,
মোচ্ছব ডেকে সারা পাড়া,
জমিয়ে আড্ডা দিতো।
আমার হাঁস কবুতর সব
গেছে আমায় ভুলে?
শোকে সবে ছিল নিরব?
বলনা একটু খোলে।
পুকুর পাড়ে গাছটি যেথা
কাগজি লেবু ধরে,
দোয়েল পাখি বসে সেথা,
কেঁদে আমায় স্মরে?
নাকি নিথর দেহ পেয়ে
মাংশ খাবার ছলে,
কবরের ঐ পানে চেয়ে,
ঘুরছে শুকুন চিলে।
ওরে মানিক সোনা পাখি
দুঃখ তোমার মনে?
কাঁদো কেন? সে কি!
কোন সে অভিমানে।
প্রায় বছর ত্রিশ ধরে
অজানা এক রোগ,
বাঁধল বাসা দেহের তরে,
করল জীবন বিয়োগ।
বাড়ির পাশে দেয়নি কবর
জমির অনেক দাম!
নদীর তীরে ভীটের পর,
তোমার পাশেই এলাম।
বর্ষায় হয়তো কষ্টে থাকবো
ডুকবে ঘরে পানি,
শরতে তো আকাশ দেখবো,
দূর করিব গ্লানি।
শীতের কালে শীতের তরে
থাকবে নাকো ভয়,
মহা-কালের খেয়ায় চড়ে,
কাটলো মোদের সংশয়।
আমরা তবে আছিই বেশ!
কবরের’ই দেশে,
একলা থাকার সময় শেষ,
বললাম আমি হেসে৷
কথা হবে,হবে আলাপ
আসবে সবাই দলে দলে,
মিশবে’ই ওরা মহাকালে,
চূড়ান্ত এ সংলাপ