ঈদ উপলক্ষে চালু হচ্ছে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র
ঈদের সময় আট জেলার মানুষকে লোডশেডিংমুক্ত রাখতে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি অন্তত ৫-৬ দিন চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে
ঈদুল আজহা উপলক্ষে উত্তরাঞ্চলের আট জেলায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। ফলে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (সংরক্ষণ) প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, বড়পুকুরিয়া থেকে প্রতিদিন যে অল্প পরিমাণে কয়লা পাওয়া যাচ্ছে, তা মজুদ করে রাখা হচ্ছে। আর এই কয়লা দিয়ে ঈদের আগের দিন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু করা হবে। আর কয়লার মজুদ সাপেক্ষে ৫ থেকে ৬ দিন চালু রাখার টার্গেট নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে প্রতিদিন একশ থেকে পাঁচশ টন পর্যন্ত কয়লা পাওয়া যাচ্ছে। এই কয়লা মজুদ করায় ১৮ আগস্ট, শনিবার পর্যন্ত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে মজুদের পরিমাণ পাঁচ হাজার টন ছাড়িয়েছে। ফলে আগামী কয়েক দিনে এ মজুদের পরিমাণ আরও বাড়বে বলেও জানান মাহবুবুর রহমান।
বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মোট উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে ৫২৫ মেগাওয়াট। এর মধ্যে একটি ইউনিট নিয়মিত সার্ভিসিংয়ে রয়েছে, যার উৎপাদন ক্ষমতা ১২৫ মেগাওয়াট। ওই ইউনিটটি সেপ্টেম্বর-অক্টোবর নাগাদ চালুর উপযোগী হবে।
বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নর্দান ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) রংপুর জোনের প্রধান প্রকৌশলী শাহাদৎ হোসেন সরকার জানান, রংপুর বিভাগের আট জেলায় প্রতিদিন ৬৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। কিন্তু তারা জাতীয় গ্রিড থেকে সরবরাহ পাচ্ছেন ৫০০ থেকে ৫৫০ মেগাওয়াট। এতে ওই জেলাগুলোতে লোডশেডিংয়ের সাথে লো-ভোল্টেজ সমস্যাও দেখা দিয়েছে।
তবে ঈদের সময় আট জেলার মানুষকে লোডশেডিংমুক্ত রাখতে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি অন্তত ৫-৬ দিন চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রধান প্রকৌশলী।
এর আগে গত ২২ জুলাই বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির মুখে স্থাপিত দেশের একমাত্র কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কয়লা সংকটের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ কারণে উত্তরের ৮ জেলায় অধিক লোডশেডিং করতে হচ্ছে।
এদিকে কয়লা কেলেঙ্কারির ঘটনায় ২৪ জুলাই খনির ১৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।