আসছে কোরবানীর বাজার শঙ্কায় সিলেটের পশু ব্যবসায়ীরা
মবরুর আহমদ সাজু
গত কোরবানির ঈদের আগের রাতে সিলেটে গরুর দাম দ্বিগুণ হয়ে যায়। ক্রেতার চেয়ে গরুর সংখ্যা কম থাকায় সন্ধ্যা রাত থেকেই গরু নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু হয়। অনেকেই ঈদের দিন গরু জবাই করতে পারেননি। পরে সিলেটের প্রধান পশুরহাট কাজিরবাজারের কর্তৃপক্ষ ঈদের দিন ও ঈদের পরদিন বাইরে থেকে গরু এনে চাহিদা পূরণ করে। কেন গরুর সংকট দেখা দিলো- প্রশ্ন করা হলে গতকাল কাজিরবাজার হাটের ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন লোলন মানবজমিনকে জানান, ‘সিলেটের সব ক্রেতাই শেষ মুহূর্তে গরু কিনতে কাজিরবাজারেই আসেন। গেলোবার তারা গরু কিনতে বাজারে এলেও পথেপথে অস্থায়ী বাজারে বাইরে থেকে আসা গরু বোঝাই ট্রাক আটকে দেয়া হয়। এ কারণে গরুর সংকট দেখা দেয় কাজিরবাজারে।’ সিলেটের প্রধান পশুর হাট কাজিরবাজার। বারো মাসই এই বাজারে গরু বিক্রি করা হয়ে থাকে। কোরবানির ঈদ এলে এই বাজারের ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি শুরু করেন আগে-ভাগেই। ওই সময় সিলেটের বাইরে অর্থাৎ উত্তরবঙ্গ থেকে গরু আসে বেশি। এবারও প্রস্তুতিপর্ব শুরু হয়েছে। কাজিরবাজার প্রধান পশুর হাটের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এবারও সিলেটের বাইরের পাইকাররা কাজিরবাজার পর্যবেক্ষণ করছেন। তবে, গতকাল পর্যন্ত এই হাটে বাইরের কোনো গরু এসে উঠেনি। বাজারের ম্যানেজার জানালেন, দেশি গরু বাজারে উঠছে। দাম বেশি। গতকাল কয়েকজন পাইকার জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গ থেকে তারা ট্রাকযোগে পশু নিয়ে আসবেন কাজিরবাজার পশুর হাটে। পথেপথে তাদের চাঁদা দিতে হয়। চাঁদাবাজির কারণে তারা ট্রাকযোগে গরু নিয়ে আসতে আসতেই দাম বেশি পড়ে যায়। এ ছাড়া কাজিরবাজারে পশুর হাটে গরুর ট্রাক আসতেই দেয় না পথে পথে বাজারের কর্ণধাররা। জোরপূর্বক ট্রাক থেকে গরু নামিয়ে দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। তারা জানিয়েছেন, সিলেট নগরীর প্রবেশমুখ কদমতলী এলাকায় এবার সিটি করপোরেশন থেকে পশুর হাট ইজারা দেয়া হয়েছে। কদমতলী দিয়েই কাজিরবাজার পশুর হাটে ট্রাকযোগে ঢুকে গরু। কদমতলীতে গরু বোঝাই ট্রাক জোরপূর্বক আটকে দেয়ার আশঙ্কা করছেন পাইকাররা। একই সঙ্গে মাছিমপুর কয়েদির হাটেও গরু নামিয়ে দেয়ার অভিযোগ ইতিমধ্যে পাওয়া গেছে। সিলেট শহরতলির শাহপরান গেট, টিবি গেট, মালনিছড়া বাগান, আখালিয়া এলাকায় পশুর হাট বসানোর প্রক্রিয়া চলছে।