সিলেটের রাস্তায় রাস্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
সিসিকে কে হচ্ছেন নগরপিতা, ভোটের অপেক্ষায় নগরবাসী
সিলেটের রাস্তায় রাস্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ঝুঁকিপূর্ণ ৮০ টি কেন্দ্রে থাকবে বাড়তি নিরাপত্তা
মবরুর আহমদ সাজু
রাত পোহালে সিলেট সিটি কর্পেরেশন (সিসিক) নির্বাচনের ভোট। প্রথম বারের মতো দলীয় প্রতিকে নির্বাচন হওয়ায় পুরো মহানগরে বইছে ভোটের উৎসব। সিলেট মহানগরীর সর্বস্থরের মানুষ থাকিয়ে আছেন কে হবে নগর পিতা। আর আর কার গলায় চড়বে বিজয়ের মালা। ইতোমধ্যেই বেশিরভাগ ভোটাররা পরিকল্পনা করে ফেলেছেন কার হাতে তুলে দেবেন নিজস্ব ওয়ার্ড ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নের দায়িত্ব।আগামীর নগর পিতা নির্বাচনের জন্য সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহন চলবে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছানো কথা রয়েছে ভোটগ্রহণের জন্য ব্যবহৃত ব্যালট-বাক্সসহ আনুষাঙ্গিক সরঞ্জাম। মোতায়েন করা হয়েছে নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। চলছে নগরজুড়ে টহল। পাশাপাশি কাজ শুরু করেছে নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্বয়ে ভ্রাম্যমান আদালত। জোরদার করা হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।এদিকে সিলেট সিটি কর্পোরেশন(সিসিক) নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শেষ হয়েছে। গত ১০ জুলাই প্রতীক বরাদ্দের পর সিসিক নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হয়। এদিকে, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১৩৪টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৮০টি ভোটকেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’(ঝুঁকিপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে কেন্দ্রগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ, অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মোট কেন্দ্রের অর্ধেকের চেয়েও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হওয়া নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন প্রার্থীরা। তবে, এসব কেন্দ্রের নিরাপত্তায় বাড়তি ব্যবস্থা থাকছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া নির্বাচনে ব্যালট ছিনতাই, জাল ভোট ও প্রভাব বিস্তার ঠেকাতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে পর্যবেক্ষক; গঠন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেল সিলেট সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা প্রলয় কুমার সাহা জানান, ‘সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ কেন্দ্রের তালিকা প্রদান করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রের নিরাপত্তায় একজন এসআই ও এএসআই, ৫ জন কনস্টেবলসহ সশস্ত্র ৭ পুলিশ সদস্য, লাঠিসহ ১২ আনসার সদস্য, ৩ জন ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য, ১ জন এপিসি আনসার সদস্য ও ১জন পিসি আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) ভোটকেন্দ্রের প্রতি ম্যাজিস্ট্রেটসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিশেষ নজরদারীও থাকবে বলেও জানান তিনি। তিনি আরো জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নগরে নির্বাচনকালীন সংঘটিত অপরাধের বিচারে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের ৯ কর্মকর্তাকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নির্বাচনের আগের দিন রোববার থেকে বুধবার পর্যন্ত নগরে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া বিজিবি’র ১৪ প্লাটুন সদস্যসহ র্যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৪ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হবে। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানান তিনি।,এদিকে, নির্বাচন কমিশন শুক্রবার রাত ১২টার মধ্যে বহিরাগতদের সিলেট ছাড়ার নির্দেশ দেয়। প্রসঙ্গত, ৩০ জুলাই সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে ৬ জন, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৬২ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১২৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।