কলেজের প্রথম দিন
ফারজানা ইসলাম সাবিহা,ক্যাম্পাস প্রতিবেদক:
১ জুলাই থেকে একাদশ শ্রেণির শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে। কিছুটা ভয়। কিছুটা উত্তেজনা। কপাল ঘামানো। মুখ শুকানো। পানির পিপাসা। নতুন পরিবেশ। অজানা পরিস্থিতি। কলেজের প্রথম দিন। স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যায়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের একটি দিন সেই প্রতিষ্ঠানে প্রথম দিন হিসেবে অভিজ্ঞতা আছে। সুখ-দুঃখ, হাসি-তামাসা, তিক্ততা নানান কিছুর সমন্বয়ে ক্যাম্পাসের প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাসের প্রথম দিনের গল্প জানাচ্ছিলেন।ইডেন কলেজে শিক্ষার্থী শারমিন সুলতানা বলেন, কলেজের প্রথম দিন সকালে মনটা খুব লাফাচ্ছিল! রাতে ঘুম না হলেও উত্তেজনায় ক্লান্তি একেবারে উড়ে যাবার যোগাড়। প্রথমবারের মত ক্লাস করতে! ভাবতেই গা শিউরে উঠছে। একেবারে শরীর ঠান্ডা হয়ে যাবার উপক্রম।’ তবে অনেকটা শঙ্কামুক্ত ছিলেন এমসি কলেজের শিক্ষার্থী আলিমুল হক। তিনি জানান, ‘আমি ক্যাম্পাসে প্রথম দিন যেয়ে সিঁড়ির নিচে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলাম আর খুঁজছিলাম আমার মতো নতুন কাউকে পাওয়া যায় কিনা। একটু পর দেখলাম একজন আমার কাছে এসে হাত বাড়িয়ে বলল আমি শামিম। তখন থেকে আগের যে ভয় ছিল তা কেটে গেল।’সিলেট সরকারী কলেজের কলজের শিক্ষার্থী। তিনি তার ক্যাম্পাসের প্রথম দিনের কথা জানাচ্ছিলেন এভাবে, কলেজে প্রবেশ করে প্রথমে খুব ভয়ে ভয়ে ছিলাম। তবে ক্যাম্পাসে এসে কিছু বড় ভাইদের আতিথেয়তায় আমি মুগ্ধ হয়েছি। তারা আমাকে ক্লাস করার এবং ক্লাসে ভালো করার যাবতীয় দিকনির্দেশনা দেন, যেটি আমার কাছে খুবই ভালো লাগছে। তবে সব মিলিয়ে ভয়ে ভয়ে হলেও খুব আনন্দের সাথেই কেটেছে।’ক্যাম্পাসে প্রথম দিন এসেই নানা উপদেশ হজম করেছেন সিলেট কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী ইয়াসমিন নীরা। সেই উপদেশ বাণীগুলোই জানালেন তিনি, কলেজে ভর্তির প্রথম দিন থেকেই প্রত্যেক ছাত্রের নিয়মানুবর্তিতা পালন করা উচিত। মেনে চলতে হয় শিক্ষক ও সিনিয়রদের পরামর্শ। এর মাধ্যমেই একজন শিক্ষার্থী নিজেকে উপস্থাপন করতে পারে সবার কাছে। এজন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে কলেজের নীতিমালাসহ নানা নিয়মকানুন মেনে চলা উচিত। আচার-আচরণে বিনয়ী হলে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের তেমন কোনো সমস্যায় পড়তে হয় না।’মানুষের কিছু স্মৃতি থাকে অমলিন। কিছু স্মৃতি মুছে যাবার নয়। গোটা ক্যাম্পাস জীবনের যা স্মৃতি তা যেন ক্যাম্পাসের প্রথম দিনকেই ঘিরে। সম্পর্কের বীজ বপনের সূত্রপাত এই দিনেই। প্রত্যেক শিক্ষার্থীই তার ক্যাম্পাসকে পরিবারের মতো আপন করে নিয়েছে। ইট-পাথরের ক্যাম্পাসের প্রতিটি দিনের স্মৃতি যেন মিশে আছে শিক্ষার্থীদের হূদয়ের সাথে।