সিসিকে নৌকা-ধানের সাথে প্রতীকে লড়বেন দলের বাইরে যারা

সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এবারই প্রথমবারের মতো এই নির্বাচনে মেয়র পদের প্রার্থীরা রাজনৈতিক দলের মনোনয়নে লড়বেন। এজন্যে দলের প্রতীককেই নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে সংরক্ষিত রেখেছে নির্বাচন কমিশন। নৌকা, ধানের শীষ, লাঙ্গলসহ, রাজনৈতিক দলের ৪০টি প্রতীক সংরক্ষিত রয়েছে। তবে নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় জামায়াতের দাড়িপাল্লা প্রতীক নির্বাচন কমিশনের সংরক্ষিত প্রতীকের তালিকায় নেই।

আর সিলেট সিটি কর্পোরেশনে এবারই প্রথম দলীয় প্রতিকে মেয়র নির্বাচন নিয়ে উৎফুল্লা আওয়ামীলীগ ও বিএনপির দলীয় কর্মীরা।

এদিকে, নির্বাচনে মেয়র পদে রাজনৈতিক দলের বাইরে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তাদের জন্য মোট ১২টি প্রতীক রাখা হয়েছে। এর মধ্যে পছন্দের প্রতীক নেয়া যাবে। তবে একই প্রতীক একাধিক প্রার্থী চাইলে তা লটারীর মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে। স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীদের জন্য প্রতীক হচ্ছে, ক্রিকেট ব্যাট, ঘোড়া, চরকা, টেবিল ঘড়ি, টেলিস্কোপ, ডিস এন্টেনা, দিয়াশলাই, ফ্লাস্ক, বাস, ময়ূর, হরিণ ও হাতি।

কাউন্সিলরদের প্রতীক : সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রতীকগুলো হচ্ছে, এয়ার কন্ডিশনার, করাত, কাঁটা চামচ, ঘুড়ি, টিফিন ক্যারিয়ার, ট্রাক্টর, ঠেলাগাড়ি, ব্যাডমিন্টন, র‌্যাকেট, মিষ্টি কুমড়া, রেডিও এবং লাটিম। সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রতীকগুলো হচ্ছে, আনারস, গ্লাস, চশমা, জিপগাড়ি, ডলফিন, বই, বেহালা, মোবাইল ফোন, স্টিল আলমারী ও হেলিকপ্টার।

নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা ব্যস্ত সময় পার করছেন। আচরণ বিধিমালা নিয়ে ইতোমধ্যে নগরীতে অভিযানও করা হয়েছে।

রিটার্নিং অফিসার ও সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার মো: আলিমুজ্জামান বলেন, ভোটার বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোট কেন্দ্রের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশন কঠোরভাবে কাজ করছে। সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্যে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

এ বিভাগের অন্যান্য