জনপ্রিয়তায় রেকর্ড গড়লেন কামরান
সিলেট সিটি নির্বাচনে অবাধ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রত্যাশা করেন নাগরিক নেতারা। তাদের মতে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির মাধ্যমে ভোটার ও সব প্রার্থীর অংশ গ্রহণের নির্বাচন গণতন্ত্রের অন্যতম শর্ত। যে কোনো নির্বাচনে এর মাধ্যমেই জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটে। যোগ্যতম ব্যক্তিই তখন নগরপিতার আসনে আসীন হতে পারেন। তারা সিলেট সিটি সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রেও এমন একটি নির্বাচনের মাধ্যমে সৎ, দৃঢ়চেতা, নাগরিক সমস্যা সমাধানে সিদ্ধহস্ত এবং জনগণের আকাক্সক্ষা পূরণ ও উন্নয়ন কার্যক্রমে আন্তরিক মেয়র প্রত্যাশা করেন। যেখানে নগরবাসী তাদের ইচ্ছেমতো পছন্দের প্রার্থীকে আগামী ৫ বছরের জন্য নগরপিতা নির্বাচন করতে পারবেন।
আসন্ন সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে অনলাইন জরিপ ও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে কেমন মেয়র চাই পোস্ট করেন সিলেট নগরের অনেকে সচেতন ভোটার তবে লক্ষনীয় ব্যাপার হলো এখানে সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানপেয়েছেন ৭৪% ভোট বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী পান ২৪% ।ভোট সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ, জল্পনা-কল্পনা সব থেমে গেছে এক নির্দেশে। দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা জানিয়ে দিয়েছেন, সিলেট সিটি (সিসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান।
এর মধ্য দিয়ে ‘কোয়াড্রপল’ এর রেকর্ড গড়ছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরান। অর্থাৎ, টানা চারবার সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার রেকর্ড গড়ছেন আওয়ামী লীগের এই কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য।
সিলেট সিটি করপোরেশনের ইতিহাসে এরকম রেকর্ড আর কারোরই নেই। এই জায়গায় কামরান অনন্য।
সিলেট পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। এরপর পৌরসভা থেকে সিলেট ২০০১ সালের ৯ এপ্রিল সিটি করপোরেশনে উন্নীত হয়। ২০০৩ সালের ২০ মার্চ প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন।
ওই সময় নির্বাচনে দলীয় ব্যানারে হওয়ার সুযোগ ছিল না। কামরান অংশ নিয়েছিলেন ‘নাগরিক কমিটি’র ব্যানারে। নির্বাচনে বিএনপি নেতা এম এ হককে প্রায় ২২ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ নেতা কামরান। নির্বাচনে কামরান ৫৭ হাজার ৫৫৮ ভোট এবং হক ৩৫ হাজার ৫৭ ভোট পেয়েছিলেন। এছাড়া ১৫ হাজার ২শ’ ভোট পেয়ে বিএনপি নেতা সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আ ফ ম কামাল তৃতীয় এবং চার হাজার ৪৯৪ ভোট পেয়ে বিএনপি নেতা সামসুজ্জামান জামান চতুর্থ স্থানে ছিলেন।
২০০৮ সালের ৪ আগস্ট সিসিকের দ্বিতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে নির্বাচনে টানা দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র পদে বিজয়ী হন কামরান। সেবারও তিনি ‘নাগরিক কমিটি’র ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। ওই নির্বাচনে বিএনপি নেতা আ ফ ম কামালকে প্রায় ৮৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন কামরান। কারাগারে থেকেও কামরান বড় জয় পেয়েছিলেন।
নির্বাচনে কামরানের ভোট সংখ্যা ছিল এক লাখ ১৫ হাজার ৪০৯। বিপরীতে কামাল পেয়েছিলেন মাত্র ৩২ হাজার ৯৭ ভোট। এছাড়া বিএনপি নেতা এম এ হক ২৩ হাজার ৪৮৭ ভোট এবং যুবদল নেতা সালাউদ্দিন রিমন ৪৭০ ভোট পান।
সিসিকের তৃতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৩ সালের ১৫ জুন। টানা তৃতীয় জয়ে হ্যাটট্রিকের স্বপ্নে বিভোর ছিলেন কামরান। কিন্তু সে নির্বাচনে বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে প্রায় ৩৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন কামরান। আরিফ পেয়েছিলেন এক লাখ ৭ হাজার ৩৩০ ভোট, কামরানের ভোট ছিল ৭২ হাজার ২৩০।
এবার সরাসরি দলীয় ব্যানারেই নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়বেন কামরান। ফলাফল কি হবে, তা ৩০ জুলাই নির্বাচনের পরই জানা যাবে।
সম্পাদনায় মবরুর আহমদ সাজু ,শাকিল মোস্তফা, মামুন আহমেদ