জনসেবা কে আমি ইবাদত মনে করি:কামরান

তাকে নিয়ে  স্বপ্নেদেখতে শুরু করেছেন নগরবাসী

মবরুর আহমদ সাজু: জীবনের বাকী সময়টুকু মানুষের সেবা করে যেতে চাই শিক্ষা, চিকিৎসা,বাসস্থান, সামাজিক নিরাপত্তাসহ পরিবর্তনের প্রত্যাশায় জনগণের ভালোবাসা ওআন্তরিকতায় আমি আবারো মেয়র নির্বাচিত হয়ে জনসেবা করতে চাই। সুতারাং মানবসেবাকে আমি ইবাদত মনে করি। আসন্ন সিলেট সিটি নির্বাচনে আওয়ামিলীগের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান উপরোক্ত কথাগুলি বলেছেন । সুতারাং এই যখন প্রেক্ষাপট, তখন দীর্ঘদিন সিসিক নির্বাচন অনুষ্ঠানের আওয়াজ ওঠায় মেয়র প্রার্থী নিয়ে পাশাপাশি  ২৭ ওয়াের্ড  পর্যায়েও জোরেশোরে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন আওয়ামী লীগ বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের মেয়র প্রার্থীরা।স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন অনেকেই। তবে কামরান  এলাকার সমস্যা চিহ্নিত করে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির মধ্যে সেসব বিষয় অর্ন্তভ’ক্ত করবেন বলে জানা যায় । রাস্তা-ঘাট সংস্কার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, মাদক ও সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষার হারবৃদ্ধি, যানজট নিরসন, পরিচ্ছন্ন ওয়ার্ড, বেকার যুবকদের কারিগরি প্রশিক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণসহ যাবতীয় নাগরিক সেবা নিশ্চিতের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ।আর ভোটাররা চাইছেন তাদের নাগরিক সেবা নিশ্চিতে জনবান্ধব ও অপেক্ষাকৃত ক্লিন ইমেজের প্রার্থীদেরই মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করতে। আঞ্চলিকনির্বাচনী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্যমতে, সিলেট সিটি করপোরেশন সিসিকে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২১ হাজার ২০০। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৭১ হাজার ২৫১ জন এবং মহিলা ১ লাখ ৪৯ হাজার৯৪৯ জন বর্তমান বিএনপি থেকে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে আরিফুল হক ও বদরুজ্জামানসেলিম রয়েছেন বেশ আলোচনায়। বিএনপির আবন্তরীণ কোন্দলে নেতাকর্মীরাবর্তমানে মাঠে ছত্রভঙ্গ থাকলেও সাংগঠনিকভাবে আওয়ামী লীগ ও সতন্ত্রসম্ভাব্য প্রার্থীরা তাদের কার্যক্রম শুরু করেছেন বেশ জোরেশোরেই।প্রার্থীদের কেউ ভোট ও দোয়া কামনা করে টানিয়েছেন নানা রঙের পোস্টার,ব্যানার ও ফেস্টুন। সিটির কৃতি সন্তান কামরান বলেন,  বিভিন্ন ওয়ার্ডেকাজের মানুষ না থাকায় ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সমস্যা ব্যাপক। আমি সামাজিকভাবেসেসব সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধান করার চেষ্টা করব এবং অতিথে তা চেস্টাকরেছি । সিটির লোকজন ও দলমত নির্বিশেষে সামাজিক আন্দোলনের নেতাকর্মীরাএবার তাকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য অনুরোধ করছেন। বদর উদ্দিন আহমদ কামরান  বলেন দলমতের ঊর্ধ্বে থেকে পুনরায় মেয়র  হয়ে তাদের সেবায় কাজ করতেচাই। ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে ও সরজমিন ঘুরে দেখাযায়  নগরীর ওয়ার্ডে মানুষের দীর্ঘদিনের সমস্যা হচ্ছে বেশিরভাগ অলি-গলির রাস্তাগুলো অরক্ষিত।বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতে এলাকায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এক  সিলেটেরসময়ের অনুসন্ধানে কামারন সমর্থকরা বলেনসিলেট সিটিতে যেসময় সিটি কর্পোরেশনে উন্নিত হয় এর পূর্বে কামরান ছিলেনপৌর কমশিনার নগরীর ১৪নম্বর ওয়ার্ডের এর পর যখন সিটিতে উন্নিত হল তখন জনগণতাকে নির্বাচিত করে নগরভবনে পাঠালে অবহেলিত নগরীকে আলোকিত নগরীর জন্যমরিয়া হয়ে উঠেন   রুপান্তর করার চেস্টা করেন,কথাগুলো বলছিলেন নগরীর ২৭টি ওয়াের্ড বসবাসরত বাসিন্দারা,তারা বলেন আসন্ন নির্বাচনে কামরাই একজন পরীক্ষিত মানুষ তার দলের জন্য যেমন পরীক্ষিত তেমনি  দলমত নির্বিশেষ

মানুষের কল্যানে এগিয়ে আসতে কৃপণতা করেন না?  সুতারাং এই যখন বাস্তবতা

তখন আসন্ন  সিটি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবার পর থেকে  দিন রাতে কামরানের

বাসায় নেতাকর্মী ও গণমানুষের গণজোয়ার সৃস্টি হয়েছে । কামরান বলেন

আওয়মীলীগ ওই একটি দল যেটি কেবল উন্নয়নের রাজনীতি করে, আর যারা উন্নয়ন করে

জনগণ তাদের কেই ভালোবাসবে,তিনি সকালের সময়কে আরো বলেন দুইবার মেয়র ছিলাম

উন্নয়ন হয়েছে আমি মানুষের জন্য রাজনীতি করি নিজের জন্য তাই বারবার বলছি

মানুষের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই?  আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে

ইতোমধ্য কামরান প্রচারনা শুরু করে দিয়েছেন বলা বাহুল্য দলের গ্রিণ

সিগনালও তার এই  প্রচারনার রহস্যাদি বলে  মন্তব্য করেন নগরবাসী ।

নগরবাসীবলছেল কামরান এক নগর উন্নয়নের রুপকার তিনি কোনো কসমেটিক উন্নয়ন

করেননি ।  টেকশই উন্নয়নই কামারনের মুলমন্ত্র এদিকে সকালের সময়ের

অনুসন্ধানে জানাগেছে কামরান দীর্ঘ দুবারের নির্বাচনে যা উন্নয়ন করেছেন

তার মাঝে উল্লেখযোগ্য হল  সুরমা নদীর দুই তীরে সৌন্দর্য বর্ধন ও

স্বাস্থ্য রক্ষায় দৃষ্টি নন্দন ওয়াক ওয়ে কে নির্মাণ করেছেন বিশুদ্ধ পানি

শোধনাগার কার সময় হয়েছে  ধোপাদীঘির পার এলাকায় মা ও শিশু স্বাস্থ্য

রক্ষায় হাসপাতাল কার সময় হয়েছে সিটি কর্পোরেশন জামে মসজিদ তার সময়কালে

হয়েছে  দরগাহে হযরত শাহজালাল (র.) মাজার গেট ও সিলেটের প্রথম মুসলমান

হযরত গাজী বুরহান উদ্দিন (র.) মূল রাস্তার ফটক  হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের

সত্কার করার শ্মশান কার সময় আধুনিকায়ন হয়েছে৹ বর্ণমালা স্কুল ও ভোলানন্দ

নৈশ বিদ্যালয় আধুনিকায়নও করেছেন  ঐতিহ্যবাহী আলী আমজাদ’র ঘড়ি ও সারদা

স্মৃতি ভবন সংস্কার করে যুগোপযোগী  করেছেন  মেয়র কাপ ক্রিকেট ও ফুটবল

টুর্নামেন্টের প্রণেতা কে যা বিগত কয়েক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে  বদর উদ্দিন

আহমদ কামরান। বিদেশ থেকে ফিরে এসে দেওয়ান ফরিদগাজীর হাত ধরে রাজনীতিতে

পর্দাপন। তার আর্শিবাদে আর  ভালবাসা নিয়ে যাত্রা শুরু করে আর পিছনে ফিরে

থাকাতে হয়নি তাকে। পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নিয়ে হয়ে যান কমিশনার, তারপর

পৌরসভার চেয়ারম্যান শেষ পর্যন্ত সিলেট পৌরসভা সিটি কর্পোরেশনে উত্তিন্নœ

করা হলে তিনি ঐ সিটির মেয়র হন। ২য় বার নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিপুল ভোটে

বিএনপি প্রার্থীকে পরাজিত করে ২বারের মতো সিটি কর্পোরেশনের মেয়র

নির্বাচিত হন। এরপর আর পিছনে থাকাতে হয়নি থাকে সিটি কর্পোরেশন এলাকার যে

কোন ডাকে সাড়া দিয়ে সবার কাছে কামরান ভাই হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ

করেন। এক সময় শহর ছেড়ে তার পদচারনা জেলা থেকে বিভাগ, বিভাগ থেকে সারা

দেশে জন প্রতিনিধি হিসাবে ছড়িয়ে পড়ে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে যুবক কামরান

শুরু করেছিলেন পথচলা। বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর

জনপ্রতিনিধির তালিকা থেকে বাদ পড়ে তার নাম। নির্বাচনে পরাজিত হলেও এখন

সিলেট নগরী তথা সিলেটবাসী তাকে মেয়র হিসাবেই ডাকেন। সবার কাছে তিনি এখনও

সিলেটের মেয়র। বিগত নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হকের কাছে পরাজিত

হলেও সকল পরিচয় ছাপিয়ে এখনো তিনি ‘মেয়র সাব’ হিসেবেই সিলেটের মানুষের

কাছে বেশি সমাদৃত। সম্প্রতি নগর ভবন ফাঁকা পড়ে আছে কিন্তু নগরবাসী বলছেন

এখনও সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের চেয়ার যেনো কামরানের নাম ধরেই ডাকছে। নগর

পিতা না হয়ে না হলেও সুখে-দুঃখে মানুষ ছুটে যান কামরানের কাছে। কামরানও

চেষ্টা করেন সাধ্যমতো সহযোগিতা করার। গত জাতীয় নির্বাচনে সিলেটবাসী মনে

করেছিল কামরানকে মন্ত্রী পরিষদে স্থান দেওয়া হবে এমন আশার কথাও

সিলেটেবাসী দু একজন নেতার কাছ থেকে শুনে ছিল। কিন্তু শেষ পর্যšন্ত আশার

বালি রয়ে গেলো। কামরানের রাজনীতির গন্ডি সীমাবদ্ধ ছিল সিলেট মহানগরীর

ভেতরে কিন্তু সে গন্ডি পেরিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে বিশেষ ভুমিকা

রাখছেন তিনি। সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন

করছেন দীর্ঘদিন থেকে। বিভিন্ন ইস্যুতে নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করে রাজপথ

‘গরম’ রাখতে তার বিকল্পও নেই দলে। সম্প্রতি পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা

প্রতীকের সমর্থনে তিনি ছুটে গেছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। বিভাগের প্রায়

সকল পৌরসভায় কামরান আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণায় অংশ

নিয়েছেন। ভোটারদের কাছে গিয়ে তুলে ধরেছেন বর্তমান সরকারের উন্নয়নের

ফিরিস্তি। অভ্যন্তরিণ কোন্দলে যেসব পৌরসভায় দলীয় নেতাকর্মীরা প্রচারণা

থেকে দূরে ছিলেন কামরানের উপস্থিতিতে তারাও নেমেছেন মাঠে। সবমিলিয়ে গত

পৌরসভা নির্বাচনে সিলেট বিভাগের আওয়ামী লীগের ভোট বিপ¬বে কামরানের বড়

ভূমিকা ছিল বলে মনে করছেন দলীয় নেতাকর্মী ও প্রার্থীরা। এর আগে গত উপজেলা

পরিষদ নির্বাচনেও কামরান ছুটে গিয়েছিলেন দল সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে

প্রচারণায়। বিভাগের যেসব উপজেলায় তিনি প্রচারনায় অংশ নিয়েছিলেন সেসব

স্থানে নির্বাচনী ফলও ভালো হয়েছে। শুধু নির্বাচন নয়, সিলেট বিভাগের কোন

জেলা ও উপজেলায় দলীয় কোন কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার সুযোগ পেলেই সেখানে ছুটে

যান কামরান। গণমানুষের দোয়া-আর্শিবাদ সবসময় সাথে থাকে বলেই একাধিকবার

জঙ্গি হামলার শিকার হয়েও প্রাণে বেঁচে গেছেন তিনি। বিগত চারদলীয় জোট

সরকারের আমলে তাকে লক্ষ্য করে গুলশান সেন্টার ও টিলাগড়ে গ্রেণেড হামলার

ঘটনা ঘটে। কিন্তু তিনি অক্ষত থেকে যান। এছাড়া গত বছর ৫ জানুয়ারি পরবর্তী

সরকার বিরোধী আন্দোলনের সময় পাঠানটুলায় তার গাড়ি লক্ষ্য করে হাতবোমার

বিস্ফোরণ ঘটালেও তিনি ভাগ্যক্রমে রক্ষা পান। আসন্ন সিলেট সিটি কর্পোরেশন

নির্বাচনে অংশ নিলে কামরানকে কেউ ঠেকাতে পারবেনা বলে অনেক কামরান ভক্ত

বলেন। আর সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সিলেট নগর পিতা হওয়ার মতো

বিকল্প এমন কেউ নেইও আওয়ামীলীগের মাঝে। সব মিলে আগামীতে কামরানই আবার

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নগর পিতার আসনে বসছেন এটা প্রায় সুনিশ্চিত ভাবেই

বলা চলে। তবে কামরান ভক্তদের দাবী বৃহত্তর সিলেটের কৃতিসন্তান  কামরানকেই

মেয়র হিসেবে দেখতে চায় সিলেটবাসী

এ বিভাগের অন্যান্য