৯টি পৌরসভা, ২টি সিটির ২টি ওয়ার্ড এবং ১টি উপজেলায় নির্বাচন আজ

দেশের ১৩১টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ও ৯টি পৌরসভাসহ চট্টগ্রাম ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ২টি ওয়ার্ড এবং একটি উপজেলায় আজ বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
ভোটগ্রহণ উপলক্ষে এসব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য নিয়োগসহ ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্মসচিব এস এম আসাদুজ্জামান একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি), পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশনের সাধারণ ওয়ার্ড ও উপজেলায় সাধারণ ও উপ-নির্বাচনের প্রচারণা মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে শেষ হয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি থাকবে। নির্বাচনী এলাকার ভোটাররা যাতে নির্বিঘেœ ও আনন্দমুখর পরিবেশে ভোটপ্রদান করতে পারেন সে জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
তিনি জানান, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১জন অফিসারসহ ৩ জন পুলিশ, অস্ত্রসহ ৪জন আনসার এবং অঙ্গীভূত আনসার-ভিডিপি সদস্য ১৩জনসহ সর্বমোট ২০জন নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন থাকবে। প্রতি ইউনিয়নে পুলিশ, এপিবিএন, ব্যাটালিয়ন আনসারের ২টি করে মোবাইল টিম, বিজিবি ১ প্ল¬াটুন ও র‌্যাবের ২টি করে টিম মোতায়েন থাকবে। এছাড়া পটুয়াখালী, বরগুনা ও সন্দ্বীপের জন্য ১ প্লাটুন কোস্ট গার্ড সদস্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ৭৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।
পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে সাধারণ কেন্দ্রে ৫জন পুলিশ, অস্ত্রসহ ২জন আনসার এবং অঙ্গীভূত আনসার-ভিডিপি সদস্য ১২জনসহ সর্বমোট ১৯ জন মোতায়েন থাকবে এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১জন অফিসারসহ ৬জন পুলিশ, অস্ত্রসহ ২ জন আনসার এবং অঙ্গীভূত আনসার-ভিডিপি সদস্য ১২জনসহ ২০জন মোতায়েন থাকবে। এছাড়া পুলিশ, এপিবিএন, ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে মোবাইল টিম ৩২টি, স্ট্রাইকিং ফোর্স ৫টি, ১০ প্ল¬াটুন বিজিবি ও র‌্যাবের ১৭টি টিম মোতায়েন থাকবে। পৌরসভা নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ৩৭জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ৪জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
আসাদুজ্জামান জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে সাধারণ কেন্দ্রে ২জন পুলিশ, অস্ত্রসহ ২জন আনসার এবং অঙ্গীভূত আনসার-ভিডিপি সদস্য ১০জন ও ১জন গ্রাম পুলিশসহ ১৫ জন মোতায়েন থাকবে এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ৩জন পুলিশ, অস্ত্রসহ ২ জন আনসার, এবং অঙ্গীভূত আনসার-ভিডিপি সদস্য ১০জন ও ১জন গ্রাম পুলিশসহ সর্বমোট ১৬ জন মোতায়েন থাকবে। এছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে ১০টি মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং ফোর্স ৩টি, ৩ প্ল¬াটুন বিজিবি ও র‌্যাব এর ৩টি টিম মোতায়েন থাকবে। এছাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০জন এক্সিকিউটিভ ও ১জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।
তিনি জানান, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে সাধারণ কেন্দ্রে ৭জন পুলিশ, অস্ত্রসহ ৩জন আনসার এবং অঙ্গীভূত আনসার-ভিডিপি সদস্য ১২জনসহ সর্বমোট ২২ জন মোতায়েন থাকবে এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ৭জন পুলিশ, অস্ত্রসহ ৫ জন আনসার এবং অঙ্গীভূত আনসার-ভিডিপি সদস্য ১২জনসহ ২৪জন মোতায়েন থাকবে। এছাড়া, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৩৬নং সাধারণ ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে পুলিশের ৪টি ও র‌্যাবের ৩টি টিম ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ৬নং সাধারণ ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে পুলিশের ৩টি ও র‌্যাবের ২টি টিম স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন থাকবে। সিটি কর্পোরেশনের প্রতি ওয়ার্ডে ১জন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।
কমিশন সূত্র জানায়, আজ বৃহস্পতিবার ৪৭টি ইউপিতে সাধারণ, ৮৪ ইউপির ৯০ পদে উপ-নির্বাচন, চারটি পৌরসভায় সাধারণ, একটি পৌরসভায় মেয়র পদে ও চারটিতে সাধারণ কাউন্সিলর পদে উপ-নির্বাচন, চট্টগ্রাম ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের দুটি ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচন ও একটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
গত মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে আজ বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত বাস, ইজিবাইক, ট্রাক, অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, বেবিট্যাক্সি, কার, ট্যাক্সিক্যাব, জিপ, পিকআপ, টেম্পো ইত্যাদি যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
সেইসঙ্গে ভোটগ্রহণের আগের তিনদিন থেকে ভোটগ্রহণের দিন মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। তবে জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন চলাচল নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।
এছাড়া মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ভোট গ্রহণের দিন দিবাগত মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত লঞ্চ, ইঞ্জিনচালিত সব ধরনের নৌযান ও স্পিডবোট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে জনগণ বা ভোটারদের চলাচলের জন্য ক্ষুদ্র নৌযান চলাচল নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।

এ বিভাগের অন্যান্য