সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ নির্বাচনে প্রার্থীরা দিন রাত প্রচারণায় ব্যস্ত
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রচার-প্রচারণা চলছে গভীর রাত পর্যন্ত। ভোটাররা নির্বাচনকে উৎসবের আমেজে পরিণত করেছেন। হাটবাজার, চায়ের দোকানসহ বিভিন্নস্থানে প্রার্র্থীদের নিয়ে আলোচনা চলছে জোরেসুরে। নবগঠিত উত্তর কুশিয়ারা ও উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নে প্রথমবারের মতো নির্বাচন হওয়াতে বাড়তি উচ্ছ্বাস ও আনন্দ ইউনিয়নবাসীর মধ্যে। চেয়ারম্যান পদে রাজনৈতিক প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় দলের কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতারা প্রার্থীর পক্ষে ইতিমধ্যে প্রচারণায় মাঠে নেমে পড়েছেন। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার স্বার্থে নির্বাচন কমিশন সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ৫টি ইউনিয়নের ৪৫টি ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং পুলিং অফিসারের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার সকাল ৯টায় নির্বাচনকালীন আইন শৃংখলা বিষয়ক এক জরুরী সভা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সিলেটের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিজিবি, র্যাবের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন। স্থানীয় কাসিম আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রিজাইডিং ও পুলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। প্রশিক্ষণে নির্বাচন কমিশনের একজন যুগ্ম সচিবসহ জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার বিমলেন্দু কিশোর পাল জানিয়েছেন, ৫টি ইউনিয়নের অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রে ২ জন পুলিশ অফিসারসহ ৯ জন পুলিশ সদস্য ও আনসার বাহিনীর একটি দল নিয়োজিত থাকবে। কম ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ২ জন পুলিশ অফিসারসহ ৭ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। ৪৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে ১৫টি নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। প্রতি ইউনিয়নে ২ প্লাটুন বিজিবি, ২ প্লাটুন র্যাব সদস্য টহলে থাকবে। ফেঞ্চুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হক জানিয়েছেন, নিবাচনী এলাকায় নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে এবং ২৭ মার্চ রাত ১২টার পর থেকে সকল প্রকার প্রচার প্রচারণা বন্ধ থাকবে। এবার ৫ ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা বেড়েছে। ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নে মোট ভোটার ১৪ হাজার ৭ শত ৮৩ জন, মাইজগাঁও ইউনিয়নে ১৯ হাজার ১শত ৯২ জন, ঘিলাছড়া ইউনিয়নে ১৬ হাজার ৬ শত ৩৭ জন। উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়নে ১২ হাজার ৩ শত ২৭ জন এবং উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নে মোট ভোটার ৯ হাজার ৬ শত ৫৩ জন
সরেজমিনে জানা গেছে, ফেঞ্চুগঞ্জের মানুষের কাছে এবারের ইউপি নির্বাচন অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই সঙ্গে দলীয় ভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে তা পেয়েছে নতুন মাত্রা। দলীয় নেতাকর্মী-সমর্থকরা প্রার্থীর পক্ষে জোর প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। নারীরাও পিছিয়ে নেই। সমান তালে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন তারাও। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা ততই জমে উঠছে। দিনরাত ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ছুটছেন প্রার্থী ও সমর্থকরা। হোটেল-রেষ্টুরেন্ট, চায়ের কাপে বইছে ভোটের ঝর। মুস্তাক আলী, উম্মর আলীসহ একাধিক স্থানীয় ব্যক্তি জানান, চেয়ারম্যান প্রার্থীরা উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
ভোটাররাও কৌশলে প্রার্থীদের ভোট দেবার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। তারা বলেন, বিপদে-আপদে যাদের কাছে পাবো, যারা গরীবের দুঃখ-কষ্ট বুঝবেন, তাদেরকে ভোট দিব আমরা। নৌকা-ধানের শীষের কোন প্রার্থীকে এখানে খাট করে দেখার সুযোগ নেই। সব মিলিয়ে ভোটের ফলাফল কি দাঁড়ায়, তা দেখতে শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ দলীয় ৫ জন, বিএনপি দলীয় ৫ জন, জাতীয় পার্টি ১ জন প্রার্থীসহ মোট ২৫ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ৫১ জন, সাধারণ সদস্য পদে ২৩৬ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার সংখ্যা ৭৪ হাজার ৩০৩ জন। এর মধ্যে মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ৩৭ হাজার ৪২৩ ও নারী ভোটার সংখ্যা ৩৬ হাজার ৮৮০ জন।এদিকে ভোটাররা বলেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ ২ নং মাইজগাও ইউনিয়নে ইমরান আহমদ চৌধুরীর বিকল্প নেই বলে অনেকে বলেন ভোটার আরেফিন বলেন কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী কাজে বিশ্বাস করেন গরীব দু:খী মেহনতি মানুষের বন্ধু ইমরান আহমদ চৌধুরী সুতারাং আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তার বিকল্প নেইপরিবর্তনের স্বপ্নে বিভোর থাকা ফেন্চুগন্চ বাসী এখন চেয়ে আছেন নতুন সম্ভাবনাময় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ইমরান আহমদ চৌধুরীর দিকে আসুন আধুনিক ইউনিয়ন গড়তে ইমরান আহমদ চৌধুরীর পাশে থাকি পাশে রাখি গ্রামীন দিনবদলের এইতো সুযোগ ভোটাররা আরো বলেন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিত্তি হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ। স্থানীয় সরকার বলতে ইউনিয়ন পরিষদকে জনগণ প্রাধিকার দিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। প্রধান কারণ হচ্ছে, সকল প্রয়োজনে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সদস্যরা জনগণের দুয়ারে গিয়ে হাজির হয়েছে এবং তাদের সুখ-দুঃখের সাথী হয়েছে। তারা সমাজ কল্যাণে নিবেদিত পরীক্ষিত কর্মী। তাই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে এযাবত্ জনগণ ভোট দিয়েছে সততা, বিশ্বাস এবং বংশ পরিচয় দেখে, কোন রাজনৈতিক পরিচয়ে নয়। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে রাজনীতি কোনদিই বড় হয়ে দৃশ্যমান হয়নি, হয়েছে প্রার্থীর যোগ্যতা, সততা, জনকল্যাণের প্রতি তার নিষ্ঠা এবং সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রতি প্রার্থীর আগ্রহের পরিমাত্রা।