সিলেটে নির্বাচনের ঢেউ শুরু
নির্বাচন সামনে রেখে সিলেটে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা প্রাণবন্ত:
সিলেটের সময়:
ভোটের বছরে প্রথম মাসেই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের প্রকাশ্য ঘোষণা দেওয়ায়। সিলেটে শুরু করেছে জাতীয় নির্বাচনের ঢেউ। তাঁর এই ঘোষণা দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তৎপরতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ‘নির্বাচন সামনে রেখে সিলেটে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা প্রাণবন্ত। তার প্রভাব পড়ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী শুধু নন, সাধারণ কর্মীরাও উৎসাহিত।’ সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান গত রাতে সকালের সময় কে বলেন, ‘সিলেটের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় উজ্জীবিত।’ সিলেট বিভাগের চার জেলার ১৯টি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা তৎপর হয়ে উঠেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর তাঁদের প্রচারাভিযানে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের পক্ষে মাঠে আগাম তৎপরতা চালাতে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসীরা সিলেটে ফিরেছে। সিলেট জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে মর্যাদাপূর্ণ সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কে তা এখনো নিশ্চিত নয়। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আর নির্বাচন করবেন না বলে ঘোষণা দেওয়ার পর একই আসনে জাতীয় নির্বাচনে লড়তে প্রস্তুতি নেন অর্থমন্ত্রীর ছোট ভাই ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. আবদুল মোমেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনে টানা ছয় বছর দায়িত্ব পালন শেষে ২০১৫ সালের ২৮ নভেম্বর থেকে তাঁর ‘সিলেট অভিযান’ শুরু হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গত ২৫ জানুয়ারি ৮৬ বছরে পদার্পণ করেছেন। তাঁর অনুসারীদের একটি অংশ তাঁকে আবারও নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার চাপ দিচ্ছে। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সংকেত পেলে এই আসনে তিনি প্রার্থী হতেও পারেন। তবে অর্থমন্ত্রী তাঁর ছোট ভাই ড. আবদুল মোমেনকে বহু আগেই পস্তুতি নিতে বলেছিলেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ সিলেট-১ আসনে প্রার্থী হতে চান। তিনি এরই মধ্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে রাষ্ট্রপতি করার দাবি তুলেছেন।