কী শাস্তি জুটছে সাকিবের কপালে?
ইনিংসের শেষ ওভারে শ্রীলঙ্কার পেসার ইসুরু উদানা পরপর দুই বলে বাউন্স দেন। এ সময় লেগ আম্পায়ার দ্বিতীয় বাউন্সারকে নো বল দেখিয়েছিলেন। কিন্তু মূল আম্পায়ার সেটা অগ্রাহ্য করেন। পরপর দুটি বাউন্সারকেই বৈধতা দিয়ে দেন আম্পায়ার। এতেই শুরু হয় বিপত্তি। ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে বাংলাদেশ শিবির।
বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়ে যায় অধিনায়ক সাকিব আল হাসানসহ পুরো দল। সাকিব অভিযোগ তোলেন তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে। মাঠে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও তখন ফিল্ড আম্পায়ারকে বিষয়টা বোঝানের চেষ্টা করেছেন। কেউ কোনো কথা কানে তুলছে না। ভিডিও ফুটেজ বলছে, সেটা আসলেই নো বল ছিল। তাই এক পর্যায়ে সাকিব মাঠ থেকে চলে আসার জন্য দুই ব্যাটসম্যানকে ইশারা করেন।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য বাংলাদেশ কোচ কোর্টনি ওয়ালশ ও ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনের হস্তক্ষেপে খেলা শুরু হয়। সেখান থেকে মাহমুদউল্লাহর বীরোচিত ইনিংসে ভর করে ১ বল বাকি থাকতেই ২ উইকেটে ম্যাচ জেতে ফাইনালের টিকেট কাটে বাংলাদেশ।
তবে প্রেমাদাসায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্ক, উত্তেজনা, সেই সঙ্গে ম্যাচ বয়কটের এমন সিদ্ধান্ত – সব মিলিয়ে সাকিবের সামনে রয়েছে বড় জরিমানাসহ নিষেধাজ্ঞার হুমকিই। তার সঙ্গে ডিমেরিট পয়েন্ট যুক্ত হওয়ার ব্যাপার তো রয়েছেই।
যদিও দলীয় সূত্র জানাচ্ছে, নিষিদ্ধ হচ্ছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব। ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড সাকিবকে ২৫ শতাংশ ম্যাচ ফি জরিমানা আর একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দিয়েছেন।
ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন একাদশের বাইরে থাকা কাজী নুরুল হাসান সোহানও। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক থিসারা পেরেরাসহ লঙ্কান অন্য ক্রিকেটারদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন একাদশের বাইরে থাকা সোহান।
তবে এ ব্যাপারে অানুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড। দলীয় সূত্রের বরাত দিয়ে জানা যায়, ম্যাচ রেফারি বুঝতে পেরেছেন ঘটনার উৎপত্তি আসলে আম্পায়ারের ভুলে! যেহেতু আম্পায়ারদের ভুলের কারণেই এত কিছু, তাই সাকিব-নুরুলকে হয়তো বেশি জরিমানা গুনতে হবে না।