আমরিয়ার এক তরুণের সহযোগিতায় বাঁচলো নবজাতক পথের শিশু!

নিজস্ব প্রতিবেদক:

 

রাস্তায় সন্তান প্রসব করে হেঁটে চলে যাচ্ছিলেন  এক প্রসূতি! যেন কিছুই ঘটেনি। দৃশ্যটি দেখে এগিয়ে এলেন এই আমরিয়া গ্রামের এক  তরুণ যুবক  । বুঝতে পারলেন মহিলা স্বাভাবিক নন।

তখন দুপুর (বুধবার) ২টা সাথে সাথে সিলেটের সময়ের প্রধান প্রতিবেদক মবরুর আহমদ সাজু কে ফোন দিলেন তাকে না পেয়ে তার ফেসবুকে নক করেন এই  যুবক, পরবির্ততে তাঁর সাথে যোগাযোগ করলে  সিলেটের সময় কে বলেন জানান দক্ষিণ সুনামগন্জ দরগাপাশা ইউনিয়নের আমরিয়া গ্রামের তোফায়েল আহমদ নিজ বাড়ী থেকে রওনা হয়ে সিলেট আসছিলেন তিনি । সিলেট কুমারগাওস্থ এলাকায় নামতে দেখেন এক পথচার চঠফট করছে সামনে এগিয়ে এলে দেখেন তিনি 

মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। সঙ্গে সঙ্গেই ওই পথচারী কল দিলেন ৯৯৯ নম্বরে। ছুটে আসলো জালালাবাদ থানা পুলিশ। তারপর মাকে নেয়া হয় হাসপাতালে।

একই সময় আরেক যুবক যাচ্ছিলেন এ পথেই। বালুর স্তুপে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন সদ্য ভূমিষ্ঠ নবজাতক। আশে পাশে মানুষ, কিন্তু সবাই নিরব দর্শক।

তবে ওই যুবক থামেননি। একটি গামছা জোগাড় করে শিশুটিকে পেঁচিয়ে নিয়ে আসেন হাসপাতালে। সেই সাথে তার আরো এক বন্ধুও হাসপাতালে এসে হাজির। ছুটলেন এদিক ওদিক ঔষদ আর টাকা পয়সা সংগ্রহে। আর অন্যজন দেখলেন হাসপাতালে ভর্তির বিষয়টি। যাদের কারণে রাস্তায় পড়ে থাকা এক নবজাতক ছায়া খোঁজে পেয়েছে কিংবা খোঁজে পেলো মাতৃস্নেহ তারা হলেন- তোফায়েল, মুবিন, ইমরান।

বুধবার (১৪ মার্চ) দুপুরে ভারসাম্যহীন মা ও নবজাতক উদ্ধারের ঘটনাটি ঘটেছে সিলেটের কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড এলাকায়।

পুলিশ জানায়, বেলা আড়াইটা দিকে কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড ও শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝামাঝি এলাকার মহাসড়ক থেকে ৯৯৯ নাম্বারে কল দেন এক পথচারী। তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে ছুটে যান জালালাবাদ থানার এসআই সুজন তালুকদার।

তারা তিনজন- তোফায়েল, মুবিন, ইমরান

তিনি জানান, ২টার দিকে এক অপ্রকৃতস্থ মহিলা রাস্তার পাশে সন্তান প্রসব করেন। মানষিক ভারসাম্য হওয়ায় নবজাতককে ফেলে চলে যাচ্ছিলেন তিনি। বাচ্চাটি রাস্তায় পড়েছিল। জরুরি কল পেয়ে তাৎক্ষণিক মা ও শিশুকে উদ্ধার করে দ্রুত সিলেট ওসমানী মেডিকেলে ভর্তি করি।’

এসআই সুজন জানান, মাকে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার গাইনি ওয়ার্ডে ও নবজাতক ছেলে শিশুটিকে পঞ্চম তলার ২১ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। মহিলা তার পিতার বা স্বামীর নাম ঠিকানা কিছুই জানাতে পারেনি।

চিকিৎসকরা প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জানিয়েছেন, মা ও ছেলে শারিরীকভাবে সুস্থ আছেন।
সম্প্রতি সাধারণ মানুষকে জরুরি সেবা দেয়ার জন্য চালু করা হয় ‘৯৯৯’ হটলাইন। বুধবারের ঘটনার মতো অনেকেই এর সুফল পেতে শুরু করেছেন

এ বিভাগের অন্যান্য