কেন পারছে না বাংলাদেশ?
বলা হচ্ছে, ছন্দ ফিরে পেতে একটি জয় দরকার। সেই জয়টি যে অধরা হয়েই থাকছে। বারেবারে হতাশার বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে টিম বাংলাদেশ। কেন পারছে না টাইগাররা? ম্যাচের পর ম্যাচ জয়ের লক্ষ্যে নেমে দিন শেষে সঙ্গী হতাশা!
হ্যাঁ, এ কথা ঠিক যে মনোবল চাঙা করতে জয়ের বিকল্প নেই। সেটি যত দ্রুত হবে ততই মঙ্গল। কিন্তু ম্যাচ জেতার মতো করে তো আগে খেলতে হবে। খেলোয়াড়দের শরীরী ভাষায় তা অনুপস্থিত।
টানা তিনটি হোম সিরিজ (ত্রিদেশীয় ওয়ানডে ফাইনাল, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি) হারের বড় ধাক্কা নিয়ে শ্রীলঙ্কার মাটিতে চলমান ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজের শুরুতেও একই চিত্র। কোহলি-ধোনি-হার্দিক পাণ্ডে-বুমরাহ-ভুবনেশ্বরবিহীন ভারতের বিপক্ষেও এক প্রকার আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে। ব্যাটে-বলে ব্যর্থতা যাকে বলে।
বিশেষ করে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। দায়িত্বজ্ঞানহীন শট খেলে একেক করে ফিরেছেন সাজঘরে। সাকিব আল হাসানের না থাকাটাও বেশ ভোগাচ্ছে। গত জানুয়ারির শেষদিকে লঙ্কানদের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় ওয়ানডের ফাইনালে আঙুলে চোট পাওয়ার পর থেকে খেলার বাইরে সাকিব।
দলের নেতৃত্ব নিয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও আছেন ভীর্ষণ চাপে। টানা হারের মধ্যে থাকলে যা হয়। নিজেদের সবশেষ ১৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ১৩টিতেই হেরে গেছে বাংলাদেশ।
দলে ঘাটতিটা কিসের? তামিম, সৌম্য, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, সাব্বিরের মতো প্রতিভাবান সব ব্যাটসম্যান। বোলিংয়ে মোস্তাফিজের সঙ্গে পেস বোলিংয়ে রুবেল, তাসকিন। সাকিবের অনুপস্থিতি ভালো প্রভাব ফেলেছে এটা মানতে হবে। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের অভাব পূরণ করা কঠিন। একজন ব্যাটসম্যান ও একজন বোলার নিতে হয় একাদশে। স্পিন অ্যাটাকে সাকিবের জায়গায় মিরাজ, নবাগত নাজমুল ইসলাম অপু খেলছেন।
সবই যখন আছে তাহলে বলতে হবে দলের মধ্যে পরিকল্পনার অভাব। ম্যাচ জিততে হলে এটি সবার আগে বাস্তবায়ন করতে হবে। টি-২০ হলে তো কথাই নেই। পরিকল্পনা অনুযায়ী, সবাই যার দায়িত্ব পালন না করলে ম্যাচ জেতার কাছাকাছি যাওয়াটা দিবাস্বপ্ন ছাড়া আর কিছু না।
ব্যাটি-বোলিং-ফিল্ডিং তিন বিভাগে সবাই সেরাটা উজাড় করে দিক বাকিটা