“সিলেট সদর উপজেলায়এতিমখানা পুড়িয়ে দিল দুর্বৃত্তরা
- ”
দুস্কৃতিকারীদের প্রতিহিংসার আগুন থেকে রক্ষা পেলনা এতিমখানা।সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ থানাধীন ২ নং হাটখোলা ইউনিয়নের অন্তর্গত বাবুরা গাও গ্রামে গতরাত আনুমানিক দুইটার দিকে নির্মম এ ঘটনা সংগঠিত হয়।জানা যায়, বাবুরা গাও গ্রামের মরহুম মাওলানা নজাবত আলীর পুত্র সিলেট এমসি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক গনিত বিভাগীয় প্রধান ও সিলেটি নাগরী আন্দোলনের পুরুধা পুরুষ অধ্যাপক এরহাসুজ্জামান(আয়না পীর) নিজ গ্রামের অদুরে সিঙ্গীবিল নামক হাওড়ের পাদদেশে বসবাস করে আসছেন।চিরকুমার প্রফেসর জামান পেশাগত জীবনে বিভিন্ন সরকারি কলেজে অধ্যাপনা শেষে নিরব জীবন বেছে নেন।নিজ পৈত্রিক মাঠিতে ফিরে এসে গ্রামের পুর্ব প্রানে হাওড়ের পাশে গড়ে তুলেন এতিম খানা ও নাগরী পাঠশালা।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়,প্রফেসর জামানের এতিমখানা হাওড়ের পাশে হলেও অতি সম্প্রতি অদুরে বাদাঘাট এলাকায় কেন্দ্রীয় কারাগার ও সিলেট মেরিন একাডেমি গড়ে উঠায় ভুমিদর বাড়ছে হু হু করে।এ বিষয়টি নজর এড়ায়নি তার পাশে বসবাসরত ডাকাত সর্দার মর্তুজ আলী ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের।বেশ কিছুদিন ধরে ডাকাত সর্দার মর্তুজ আলী ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা মিলে এলাকার মানুষের কাছে আয়না পীর নামে পরিচিত এতিমখানার প্রতিষ্টাতা প্রফেসর জামানকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল।প্রফেসর জামান তাদের হুমকি আমলে না নেওয়ায় গতরাতে ক্ষিপ্ত দুস্কৃতিকারিরা তার প্রতিষ্টিত এতিমখানা পুড়িয়ে দেয়।
এতে প্রায় দুই লক্ষাধীক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে জানা যায়।এ ব্যাপারে এলাকার সাধারন মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রফেসর জামান নিজে চিরকুমার এবং বেশভুষায় অতি সাধারন জীবন যাপন করেন।পৈত্রিক সুত্রে বিপুল বিষয় সম্পত্তির মালিক হলেও তিনি নিরবিলি জীবন কাটাচ্ছেন এতিম অসহায় মানুষের সেবা করে।কিন্তু এলাকার ডাকাত সর্দার মর্তুজ আলী, তার সহোদর ইউনুস আলী, ইন্তাজ আলীদের কু নজর পড়ে তার প্রতিষ্টিত এতিমখানার ভুমির প্রতি।তারা তাকে হুমকি ধমকি দিয়ে তার এ প্রতিষ্টান দখলে নিতে চেয়েছিল।
উল্লেখ্য, ডাকাত মর্তুজ আলী ও তার সহোদরদের অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসি প্রায় ২০ বছর আগে এলাকা থেকে উচ্ছেদ করে বিতাড়িত করেছিল।সম্প্রতি সে আবারো সরকারি ভুমি দখল করে বাড়ি নির্মান করে সেখানে বসবাস করে আসছে।যা নিয়ে সিলেট সদর ভুমি অফিসে মামলা চলমান।অতি সম্প্রতি প্রশাসন তাকে বাড়ি ত্যাগের নির্দেশ দিলে সে আয়না পীরের বাড়ির দিকে নজর দেয়।