প্রধানমন্ত্রীর অনুদান পেলেন কাজী হায়াৎ ও খালেদা আক্তার কল্পনা

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক কাজী হায়াৎ এবং গুণী অভিনেত্রী খালেদা আক্তার কল্পনা দুজনেই অনেকদিন ধরেই শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাই তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সাহায্য কামনা করেছিলেন। অবশেষে সাড়া পেলেন তারা। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী তাদের হাতে আর্থিক অনুদানের চেক তুলে দেন। কাজী হায়া গতকাল  বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে অনেক ধন্যবাদ জানাতে চাই। ২০০৪ সালে আমার হার্টে চারটা রিং পরানো হয়।

এরপর রিং ফেল করার পরে ২০০৫ সালে ওপেন হার্ট সার্জারি করি। এখন সেটা আবার ব্লকড হয়ে গেছে। ডাক্তার ধারণা করেছেন, এক থেকে একাধিক ব্লকড হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতা আমাকে অবাক করেছে। অনুদান পেয়েছি আমি। ডাক্তারের পরামর্শে উন্নত চিকিসার জন্য আমি শিগগিরই দেশের বাইরে যাবো। তিনি আমাদের আরেক সহযোদ্ধা খালেদা আক্তার কল্পনাকেও সাহায্য করেছেন। প্রধানমন্ত্রী দল-মত নির্বিশেষে সাহায্য করে থাকেন। কাজী হায়া ও খালেদা আক্তার কল্পনাকে প্রধানমন্ত্রী যথাক্রমে ১০ লাখ টাকা করে অনুদান দেন। খালেদা আক্তার কল্পনা পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। বর্ণিল ক্যারিয়ারে শতাধিক নাটকেও অভিনয় করেছেন। অসুস্থ হয়ে বাসায় দিনের পর দিন পার করছেন তিনি। খালেদা আক্তার কল্পনার ডান চোখে গ্লুকোমা, রেটিনায় রক্তপাত আর কর্নিয়ার আলসার থেকে ইনফেকশন হয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। শুধু বাম চোখ দিয়ে দেখছেন। ঢাকায় চিকিসা নেয়ার পর চিকিৎসকের পরামর্শে উন্নত চিকিসার জন্য চেন্নাই থেকে ছানি অপারেশনও করিয়েছেন তিনবার। তিনি জানান, এই সরকারি অনুদান আমার উন্নত চিকিসায় কাজে আসবে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে চির কৃতজ্ঞ। উল্লেখ্য, নায়করাজ রাজ্জাক পরিচালিত ‘জ্বিনের বাদশা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য খালেদা আক্তার কল্পনা প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। আর কাজী হায়া কাহিনীকার, সংলাপ রচিয়তা ও পরিচালক হিসেবে ‘দায়ী কে’, ‘ত্রাস’, ‘দেশপ্রেমিক’, ‘ইতিহাস’সহ বেশ কিছু ছবির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।

এ বিভাগের অন্যান্য