দলে জনপ্রিয় কামরান,আরিফ নিয়ে টালবাহনা,চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে জামাত /মবরুর সাজু/

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সাত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে টেস্ট কেস হিসেবে দেখছে জামাত। আর এই টেস্টে নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ে মরিয়া ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও । মর্যাদার লড়াইয়ে হেরে গিয়ে বিএনপির হাতে কোন রাজনৈতিক অস্ত্র তুলে দিতে চায় না দলটি। দলটির শীর্ষ নেতাদের দাবি, সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়েই জিততে চায় তারা। কারণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হলে এর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সংসদ নির্বাচনে। যা দলের জন্য শুভ সংবাদ বহন হতে পারে না। তাই এসব বিবেচনা মাথায় রেখে নির্বাচনী ছক কষছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার । সূত্রমতে, গত নির্বাচনে পরাজয় থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী নির্বাচনে ৭ সিটির মধ্যে বেশির ভাগ সিটিতেই জয় চায় আওয়ামী লীগ। এ জন্য চলছে আগাম প্রার্থী যাচাই-বাছাইয়ের কাজ। জয় এনে দিতে পারবেন এমন মেয়র প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করেছেন দলের নীতিনির্ধারকরা। ইতোমধ্যে মেয়র প্রার্থীদের নিজ নিজ এলাকায় জনসংযোগ শুরুর নির্দেশও দেয়া হয়েছে। গত ৮ জুলাই গণভবনে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা জানিয়েছেন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আসন্ন সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের বিষয়ে স¤প্রতি শেখ হাসিনা তার ঘনিষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।বিভিন্ন জনমত জরিপের ভিত্তিতে কোন সিটিতে কাকে মনোনয়ন দিলে ভালো হবে, সে বিষয়েও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। আগামী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে  নিজ দলে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন কামরান,আরিফ নিয়ে বিএনপির  টালবাহনা,চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে জামাত ? সংশ্লিষ্টারা  জানান বারবার নিজ দলেই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছেন সিলেটের বিএনপি দলীয় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। প্রায় দুই মাস লন্ডন সফর শেষে সিলেটে ফিরেই আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়র পদে নিজের প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম তাকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা নেতা নেতাকর্মীরা বলছেন  সেলিম হবেন আগামির নগর পিতা এদিকে   সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের পালে জোর হাওয়া লেগেছে পাড়ার পাড়ায় । আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সংবাদ মাধ্যমে কয়েক দিন আগে এমন খবর প্রকাশের পর মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর পদের আগ্রহী প্রার্থীরা অধিক তৎপর হয়ে উঠেছেন। নির্বাচনী একটি আমেজ এসেছে নগরজুড়ে। ভোটের আলোচনা এখন চায়ের টেবিলে, বিয়ের অনুুষ্ঠানে- সব খানেই। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও জায়গা পেয়েছে ভোটের কথাবার্তা আর ছবি। সম্ভাব্য প্রার্থীদের হাসিমাখা মুখের রঙিন বিলবোর্ড চোখে পড়ছে রাজপথ, অলি-গলিতে। অনেক রাত পর্যন্তই পাড়া-মহল্লায় চলছে প্রার্থী আর শুভাকাঙ্খীদের নির্বাচনী শলা-পরামর্শ। মেয়র পদের প্রার্থীরা এবারের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন ও প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এর বাইরে স্বতন্ত্র যে কেউও অবশ্য প্রার্থী হতে পারবেন। তবে মূল লড়াইটা যে দলীয় প্রতীকধারী প্রার্থীদের মধ্যেই হবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। ফলে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের এখন বড় চ্যালেঞ্জ- নিজ দলের মনোনয়ন পাওয়াটা নিশ্চিত করা। বিশেষ করে বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে এ নিয়ে রীতিমতো স্নায়ুযুদ্ধ শুরু হয়েছে। দুই দলেরই সিলেটের শীর্ষস্থানীয় একাধিক নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশী হওয়ায় ইতিমধ্যে তাদের মধ্যে কথার লড়াই শুরু হয়েছে। প্রত্যেকেই নিজেকে দলের মনোয়নপ্রাপ্তির যোগ্য দাবিদার বলছেন। এর পাশাপাশি নেতারা কেন্দ্রের সাথে লবিং এবং সিলেটের নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন। কর্মীর সাথে নিজের শীতল সম্পর্ককে উঞ্চ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। সিটি করপোরেশনের সাবেক দুই বারের মেয়র, সিলেট পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান আসন্ন নির্বাচনে আবার প্রার্থী হওয়ার জন্য তৎপর রয়েছেন। তিনি দলের নেতাকর্মীর পাশাপাশি নগরবাসীর সাথেও এ ব্যাপারে কথা বলছেন। দোয়া ও সমর্থন চাচ্ছেন। বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে বর্তমান মেয়র, মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি আরিফুল হক চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিমের মধ্যে ইতিমধ্যে কথার লড়াই জমে উঠেছে। একে অপরকে আক্রমণ করে দেয়া বক্তব্য মিডিয়ায় আসছে। বিএনপি নেতা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদীও দলীয় মনোনয়নে মেয়র পদে নির্বাচনের চেষ্টায় রয়েছেন। জাতীয় পার্টিরও (জাপা) একাধিক নেতা মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। এজন্য তারা সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। নগরীতে নির্বাচনী আমেজকে একটু আগেভাগেই জমিয়ে তুলেছেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদের প্রার্থীরা। প্রতিটি ওয়ার্ডেই বর্তমান কাউন্সিলরদের পাশাপাশি, বিগত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরেছেন এমন অনেক প্রার্থী এবং বহু নতুন মুখ প্রার্থী হওয়ার জন্য সরব হয়ে উঠেছেন। তারা নিজ নিজ পাড়া-মহল্লায় বিভিন্ন সামাজিক, পারিবারিক অনুষ্ঠানে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ ব্যক্ত করছেন। অনেকে মহল্লার মুরুব্বী, যুব সমাজসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষজনের সাথে মতবিনিময় করে দোয়া ও সমর্থন চাচ্ছেন। নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডেই অন্তত ১০-১৫ জন সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী তৎপর থাকায় ভোটের আমেজ ভালোভাবেই ছড়িয়ে পড়ছে। সিলেট পৌরসভা সিটি করপোরেশনে উন্নীত হওয়ার পর ২০০৩ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী এমএ হককে পরাজিত করে মেয়র পদে জয়ী হন বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত করপোরেশনের দ্বিতীয় নির্বাচনে কারাগারে বন্দি থেকেও বিপুল ভোটে পুণরায় বিজয়ী হন কামরান। তবে ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে হেরে যান কামরান।

দলের নির্দেশেই আমি মেয়র পদে নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি :কামরান

সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান বলেছেন, দলীয় সভানেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশেই তিনি আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সিলেটের নেতাকর্মী ও নগরবাসীর সমর্থন তিনি পাচ্ছেন। অবশ্য তিনি এটাও বলেছেন, শেষ পর্যন্ত দলের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত, দল যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই আমি মেনে নেব। দলের আরো একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থী সম্পর্কে কামরান বলেন, আওয়ামী লীগ এ দেশের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দল। দলের যেকোন নেতাকর্মীর মনোয়ন চাওয়ার অধিকার রয়েছে। সব মূল্যায়ন করে দলই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে। এদিকে আগামী দিনের সিলেট সিটি কর্পোরেশন মেয়র নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন মেরুকরণ,চলছে নানান ধরনের আলোচনা।কে হচ্ছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশন মেয়র? সিলেটের সময়ের sylhetersomoy.com একটি অনুসন্ধান চালিয়েছিল,এতে দলীয় নেতাকর্মী সহ শিক্ষক শিক্ষার্থী  রিকশা ড্রাইবার,হকার,সিএনজি ড্রাইবার, ব্যবসায়ী,ও সাধারণ মানুষ সহ সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এক জরিপ করেছিল আমাদের প্রতিনিধি দল,এই জরিপে মোট ৫৭৬ জনকে জিজ্ঞাসা করে ৬৫ ভাগ ভোট বদর উদ্দিন আহমেদ কামরানের পক্ষ্যে পাওয়া যায়,বাকি ৩৫ ভাগ ভোট ভাগ পেয়েছেন সম্ভাবনাময় ব্যক্তিরা সিলেটে প্রাণহীন বিএনপি। অন্যদিকে অধিক জনপ্রিয়তা শঙ্কায় ফেলে দিয়েছে আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে। জাতীয় পার্টি ধুঁকছে অস্তিত্ব সংকটে। নতুন নতুন মুখের আর্বিভাব ঘটছে এ দলে। তবে- আশার কথা রাজনৈতিক মাঠে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নেই। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিরাজ থাকার পরও সিলেটে শক্তি বাড়াতে পারেনি বিএনপি। আন্দোলনের ময়দানে রাখতে পারেনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। সর্বশেষ গেলো কর্মসূচিতেও সফল হয়নি তারা তবে সিলেট আওয়ামীলীগে মেয়র প্রার্থী নিয়ে খুব একটা মতপার্থক্য নেই বললেও চলে আওয়ামীলীগের বিরট একটা অংশ মেয়র পদে সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে মেয়র পদে দেখতে চান বলে মত প্রকাশ করেন সাধারণ মানুষ।

জেলে থাকায় সব কাজ করতে পারিনি তাই আবার সুযোগ চাই : আরিফ

সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, নগরবাসীকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন তা পূরণে শুরু থেকেই আন্তরিকভাবে কাজ শুরু করেছিলেন। তবে দীর্ঘ দিন জেলে বন্দি থাকায় সব কাজ করতে পারেননি। এজন্য আগামী নির্বাচনে তিনি আবারও সুযোগ চান। দলীয় মনোনয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কাজের মূল্যায়ন করে দল তাকেই মনোয়ন দেবে বলে তিনি আশাবাদী। ‘দলের নেতাকর্মীদের সাথে তার যোগাযোগ-সম্পর্ক নেই’ নিজ দলের অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী বদরুজ্জামান সেলিমের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, দল এবং দলের নেতাকর্মীদের জন্যই আজীবন কাজ করে যাচ্ছি। এখন কে কি বললো সেটা দল এবং নেতাকর্মীরাই মূল্যায়ন করবে।

 

সিসিক নির্বাচনে মেয়র পদে এডভোকেট জুবায়ের’র আনুষ্ঠানিক প্রার্থীতা ঘোষণা সিটি নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে জামাত :

নির্বাচনের আগে সাত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে টেস্ট কেস হিসেবে দেখছে জামাত এদিকে দেশের বড় দু দল কে   সিটি নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে জামাত দলীয় উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে। বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচনগুলো বর্জন করলেও সিটি নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির হস্তক্ষেপে চারটি সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে একক প্রার্থী দেয়া হয়েছে। সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গনের প্রিয় মুখ, সৎ, মেধাবী ও যোগ্য নেতৃত্বের প্রতীক, সিলেট জেলা বারের বিশিষ্ট আইনজীবি, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও সিলেট মহানগর আমীর আসন্ন সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর আমীর এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। গতবুধবার সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির ২নং বার হলে অনুষ্ঠিত আইনজীবীদের সাথে মতবিনিময় সভার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক প্রার্থীতা ঘোষণা করেন তিনি। জেলা বারের সর্বজন শ্রদ্ধেয় সিনিয়র আইনজীবী ও একজন সৎ, যোগ্য মেধাবী, পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে এডভোকেট জুবায়েরকে আসন্ন নির্বাচনে পাশে থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেছেন জেলা বার সভাপতিসহ আইনজীবী ও  নেতৃবৃন্দ।

 

মনোয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আমি আশাবাদী :নাসিম

মহানগর বিএনপির সভাপতি ও মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী নাসিম হোসাইন বলেছেন, তিনি দলের হাইকমান্ডের মত নিয়েই নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছেন। নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে নগরবাসীর সমর্থন আদায়ে কাজ করছেন। কয়েক দিন আগে একটি সভা করে দলের সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিমের প্রার্থীতা ঘোষণা সম্পর্কে তিনি বলেন, এত আগেভাগে এভাবে কারো প্রার্থীতা ঘোষণা কতটুকু যুক্তিযুক্ত তা সময়ই বলে দেবে।

৩৮ বছর দলের জন্য যা করেছি আশা করি সেটার মূল্যায়ন হবে : সেলিম

মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী বদরুজ্জামান সেলিম বলেছেন, দলীয় নেতাকর্মীদের দাবি ও নগরবাসীর প্রত্যাশা-সমর্থন পেয়ে তিনি ইতিমধ্যে মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এব্যাপারে দলের হাইকমান্ডেরও সবুজ সংকেত রয়েছে। তিনি বলেন, ৩৮ বছর ধরে বিএনপির জন্য কাজ করে যাচ্ছি। কাউন্সিলরদের ভোটে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করেছি। নেতাকর্মী ও নগরবাসী সকলেই আমাকে প্রার্থী হতে বলছেন। বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সাথে দলের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীর কোন সম্পর্ক নেই দাবি করে তিনি বলেন, দলীয় কর্মসূচীতেও তাকে দেখা যায় না।

 

 

 

 

জয় পেতে প্রার্থী পরিবর্তন করা দরকার :আসাদ

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র পদে মনোয়ন প্রত্যাশী আসাদ উদ্দিন আহমদ বলেন, দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে অবহিত করেই তিনি মেয়র পদে নির্বাচন করার লক্ষ্যে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, গত সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পরাজয়ের অন্যতম কারণ ঘুরেফিরে একই ব্যক্তিকে বার বার মনোয়ন দেয়া। মানুষ নতুনত্ব চায় দাবি করে তিনি বলেন, মেয়র পদ পুনরুদ্ধারের জন্য প্রার্থী পরিবর্তন করা দরকার।

২০১৮ সালে অুনষ্ঠিতব্য সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হবার জন্য ইতোমধ্যে অনেকেই প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েছেন। মেয়র পদের প্রার্থীরা এবারের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন ও প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সে জন্য অনেকেই দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর তদবির শুরু করারও খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হচ্ছে। দেশে প্রধান দুটি দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তে একাধিক প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদন্দ্বিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন। আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পেতে যারা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তাদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ,মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, বর্তমান ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ এবং সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম। বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে বর্তমান মেয়র, মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি আরিফুল হক চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, প্যানাল মেয়র (১) রেজাউল হাসান কয়েস লোদী। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত লড়াই হবে আওয়ামীলীগে এবং বিএনপির মধ্যে। আর সে লক্ষে দলও চাইবে যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে। এ ক্ষেত্রে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ও আরিফুল হক চৌধুরী। সাধারণ মানুষের দৃষ্টিতেও এই দুই প্রার্থী জনপ্রিয়। বদর উদ্দিন আহমদ কামরান একজন জননন্দিত নেতা। নগরীর সাধারণ মানুষের আপন জন। তার আর্কষনীয় ব্যবহারে সকলেই মুগ্ধ। মানুষ তাকে ভরসার স্থল হিসেবে ভাবে এবং তার কাছে সুখ-দুখের বিষয়গুলো শেয়ার করে। তিনিও সুখে-দুখে সাধারণ মানুষের পাশে থাকেন। একাধিকবার ছিলেন ওয়ার্ড কমিশনার। তারপর পৌর মেয়র। সবশেষ সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র এবং পরে নগরবাসীর বিপুল ভোটে মেয়র পদে নির্বাচিত হয়ে আবারো নিজের যোগ্যতার জানান দেন যথারীতি। আর তখন থেকেই নগরবাসী ভালবেসে তাদের চিরচেনা এই অভিভাবকের নামের পাশে জননন্দিত শব্দটিও যুক্ত করে দেন অবলীলায়। অন্যদিকে, বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী পরিচিত হয়ে ওঠেন সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের প্রিয়জন হিসেবে। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে সাইফুর রহমানের আর্শিবাদে তিনি সিলেট নগরীর বেশ কিছু উন্নয়ন কর্মকান্ড তদারকী করার সুযোগ পান। বিশেষ করে রাস্তা প্রস্তকরন, ড্রেন কালর্বাড নির্মাণ ইত্যাদি। পরবর্তিতে বিশেষ পরিস্থিতে তিনি মেয়র কামরানের মতো প্রার্থীকে পরাজিত করে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হোন। নগর উন্নয়নে জোর তৎপরতা শুরু করেন। কিন্তু অল্প দিনের মাথায় সাবেক অর্থমন্ত্রী এ এস এম কিবরিয়া হত্যা মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্রে আরিফের নাম সংযুক্ত করায় তাকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়। তার পর দীর্ঘ দিন তিনি কারাগারে থাকেন। তার জামিন নিয়েও অনেক নাটকিয়তা হয়। আর এই বিষয় গুলো সিলেটের মানুষ সহজভাবে মেনে নেয়নি। জামিনে বের হয়ে তিনি আবার ফুটপাত দখল মুক্ত করতে এবং রাস্তা-ঘাট প্রশস্ত করতে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন।  

এ বিভাগের অন্যান্য