জিন্দাবাজারে গোবিন্দ জিউর আখড়া মন্দিরের জায়গা হস্তান্তর নিয়ে তদন্ত শুরু
সিলেটের সময় ডেস্ক :
সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারে অবস্থিত শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ জিউর আখড়া। এই মন্দিরের জায়গা অবৈধভাবে হস্তান্তর ও ১২ কোটি ২৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে বাদী ও বিবাদী পক্ষকে জমির কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে অভিযোগকারীরা তাদের দলিলাদির অনুলিপি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দিলেও অভিযুক্তরা কালক্ষেপণ করছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। রোববার এ তথ্য জানায় সংস্থাটি।
এ ঘটনায় মন্দির পরিচালনা কমিটির বৈধতা, সম্পত্তি হস্তান্তরসহ নানা বিষয়ে গত ১৫ জুলাই সমকালে সংবাদ প্রকাশ হয়। ‘সিলেটে আখড়ার সম্পত্তি বেহাত, রক্ষকই ভক্ষক’ শিরোনামে ওই প্রতিবেদনে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। এরপর সিলেটে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল মোমেনের আদালতে মামলা করেন স্থানীয় বাসিন্দা ও মন্দিরের ভক্ত রাহুল দেবনাথ। এতে ২৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে আগামী ১৯ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
অভিযুক্তরা হলেন– মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিরাজ মাধব চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক দিবাকর ধর রাম, সুধাময় মজুমদার, মিহির লাল দে, অমলেন্দু ধর, কিশোর কুমার কর, বিমান দাস, প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য, শান্তনু দত্ত শন্তু, চন্দন রায়, মলয় পুরকায়স্থ, সুপর্ণ দে মন্তু, সুদীপ দে, সুদীপ সেন বাপ্পু, কৃপেশ পাল, তপন মিত্র ও সেবায়েত বিভা বসু গোস্বামী বাপ্পা। এ ছাড়া দলিলের সাক্ষী ও শনাক্তকারীদের মধ্যে আছেন উদয়ন দাস পুরকায়স্থ, আবদুর রহিম শামীম, আবুল কালাম, অবণী কুমার দেব, এজাজ উদ্দিন, খন্দকার কামরুজ্জামান ও বীরেশ দেবনাথ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে জাল দলিল বানিয়ে মন্দিরের জায়গা হস্তান্তর করেছেন। ২০০৪ সাল থেকে অনুমোদনবিহীন কমিটি এখান থেকে বিভিন্নভাবে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেছে। এর মধ্যে শুধু মন্দিরের জায়গা থেকেই হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ১২ কোটি ২৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার খালেদ উজ জামান গতকাল বলেন, আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার পিবিআই সদস্যরা মন্দিরটি সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। বিতর্কিত জায়গাটি নিয়ে উভয় পক্ষ তাদের নথিপত্র জমা দিলে, তা যাচাইবাছাই করে এবং টাকা আত্মসাতের অভিযোগ খতিয়ে দেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
সুত্র: সমকাল