সিলেটে শিশুকে অপহরণের পর বিক্রি, অতঃপর উদ্ধার
সিলেটের সময় ডেস্ক :
সিলেটের সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট থেকে অপহৃত শিশুকে ৩ দিনের মাথায় হবিগঞ্জ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণের পর শিশুটিকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। এ ঘটনায় শিশুটিকে ক্রয়কারী নারীকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুরে সিলেটের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিং করে বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) শেখ মো. সেলিম।
তিনি জানান, গত শনিবার (২৭ মে) সকাল ১০টার দিকে গোয়াইনঘাট থানাধীন রুস্তুমপুর ইউনিয়নের উপরগ্রামের মো. ফয়জুদ্দিনের ১৪ মাসের শিশু সন্তান শাহ জাহান বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। শিশুটিকে কোথাও না পেয়ে তার বাবা গোয়াইনঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। শিশু নিখোঁজের ঘটনায় স্থানীয়দের মনে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
ভিকটিমের পিতা কর্তৃক সাধারণ ডায়েরি প্রাপ্ত হয়ে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ ভিকটিম উদ্ধারে তৎপর হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়াইনঘাট থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মিহির চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে পুলিশ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সর্দারপুর মমতা বেগমকে গ্রেফতার ও তার হেফাজত হতে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।আটক মমতা বেগম (৪৫) ওই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী।
প্রেসব্রিফিংকালে জানানো হয়, অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী জাফর নামক জৈনক ব্যক্তি। সে নিজের প্রকৃত পরিচয় গোপন করে অসহায় ও অনাথ পরিচয় দিয়ে গোয়াইনঘাটের রুস্তুমপুর ইউনিয়নের উপরগ্রামের ফয়জুদ্দিনের বাড়িতে আশ্রয় নে। প্রায় ২০ দিন বাড়িতে অবস্থান করে বিশ্বস্থতা অর্জন করে এবং শিশু শাহ জাহানকে অপহরণের পরিকল্পনা করতে থাকে।
গত শনিবার (২৭ মে) জাফর সুযোগ বুঝে শিশুটিকে অপহরণ করে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে নিয়ে গ্রেফতারকৃত মমতা বেগমের কাছে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে পালিয়ে যায়। পলাতক আসামি জাফরকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে এবং গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানানো হয়।