সিলেট কমার্স কলেজের সাফল্যের রেকর্ড অব্যাহত
সাফল্যের জোয়ারে এ বছর ও ভাটা পড়েনি সিলেট কমার্স কলেজের। বোর্ডে মেধা তালিকার প্রচলিত পদ্ধতি না থাকলে ও কলেজের ফলাফল রয়েছে অক্ষুন্ন। এবারের এইচ এস সি পরীক্ষায় এ কলেজে পাশ করেছে শতভাগ শিক্ষার্থী। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩০৯ জন এর মধ্যে ৩০৬ জন পাশ করেছে , এছাড়া ৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল এদের মধ্যে এ প্লাস পেয়েছে ৫ জন তারা হলেন নৌশিন আহমদ, খুশনুদ হুসেন প্রিতু, মো হাবিবুর রহমান, রেজিয়া খাতুন বকুল ও আবু জাফর উবায়দুল্লাহ । ২০১৫ সালের পাশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ বছর কলেজের ফলাফলের উল্লেখযোগ্য দিক হলো এস.এস.সি.-তে সর্বাধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী জিপিএ গ্রেড নিয়ে ভর্তি হয়ে সর্বাধিক সংখ্যক এ প্লাস এইচ.এস.সি.তে অর্জন করে । এ ফলাফলে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষকমন্ডলী। তারা বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় এবং কলেজের ব্যতিক্রমি পাঠদানের ফলেই এ ফলাফল অর্জন সম্ভব হয়েছে। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সহকারী অধ্যাপক মো: মুহিবুর রহমান জানান কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রাইভেট পড়াকে “না” বলুন স্লোগান কে নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। তিনি জানান সর্বাধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সমন্বয়ে গঠিত সিলেট কমার্স কলেজ গুনগুত শিক্ষার ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি সাফল্যের এ ধারা অব্যাহত রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। ফলাফল প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট কমার্স কলেজের রেক্টর মো. শামসুর রহমান মুহিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ফরিদ আহমদ ,ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. হারুন মিয়া প্রভাষক নেসার আহমদ, পরশ মনিদেব , অসীম রায়, আব্দুর রব, সজিব দত্ত, প্রাচুর্য্য গোস্বামী প্রমুখ। উল্লেখ্য যে, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সিলেট কমার্স কলেজ শতভাগ পাস সহ সিলেট শিক্ষাবোর্ড বরাবরই মেধা তালিকায় স্থান করে আসছে। এর মধ্যে ২০০৯ সালে বোর্ডে প্রথম স্থান অধিকার করে সকলের নজর কাড়ে এ কলেজটি। মুহিবুর রহমান ফাউন্ডেশন পরিচালিত সিলেট কমার্স কলেজ ইতোমধ্যে দেশের অন্যতম এবং সিলেটের প্রথম ডিজিটাল ক্যাম্পাস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।