সিলেট সিটি নির্বাচনে আরিফের অংশ নেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির একাধিক শীর্ষ নেতা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পক্ষে না। ফলে সিলেটসহ রাজশাহী ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কী না এ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
দলটির একাধিক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করবে বিএনপি। গাজীপুরের নির্বাচন নিজেদের মনপুতঃ না হলে সিলেটসহ তিন নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারে বিএনপি। আগামী ২৬ জুন গাজীপুর সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পরদিন ২৭ জুন নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিএনপি।
জানা গেছে, নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে ধানের শীষ প্রতীকের সব প্রার্থীর কাছ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের আবেদনেও স্বাক্ষর নিয়ে রাখছে বিএনপি হাইকমান্ড। একই কারণে সিলেটসহ তিনি সিটিতে প্রার্থী চুড়ান্ত করার পরও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিচ্ছে না বিএনপি। সিলেটে বর্তমান আরিফুল হক চৌধুরীকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে চুড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে আরিফুল হক চৌধুরী স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন বলেও একাধিক সূত্র জানিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখনই কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি আরিফ।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় জানান, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের অভিজ্ঞতার পর থেকেই এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে স্থানীয় নির্বাচন বয়কটের দাবি ওঠে স্থায়ী কমিটির সভায়। তবে সর্বসম্মতিক্রমে গাজীপুর সিটি নির্বাচনকে শেষ পরীক্ষা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এখানেও কারচুপি আর অনিয়ম হলে অন্য সিটিগুলোতে বিএনপির অংশগ্রহণ অনিশ্চিত। তারা ‘বিতর্কিত’ এসব স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য আর অংশগ্রহণ করতে চান না। এসব নির্বাচনে দলের নেতাকর্মীদের মামলা-হামলা-নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। কিন্তু ফলাফল শূন্য।
আগামী ৩০ জুলাই সিলেটসহ তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৮ জুন। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে ৯ জুলাই পর্যন্ত।