সুনামগঞ্জ জেলায় আ’লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন
বহুল প্রতীক্ষার পর অবশেষে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ৭৫ সদস্যবিশিষ্ট সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন।
কমিটিতে ১১ সহসভাপতি, তিন যুগ্ম সম্পাদক ও তিন সাংগঠনিক সম্পাদক রয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মতিউর রহমান।
নবগঠিত কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন জেলা অওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট।
কমিটির অপর সহসভাপতিরা হলেন- মুহিবুর রহমান মানিক এমপি (ছাতক-দোয়ারা), জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা অ্যাডভোকেট আফতাব উদ্দিন আহমদ, অ্যাডভোকেট শামছুন নাহার বেগম শাহানা এমপি (সংরক্ষিত নারী আসন), প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা সিদ্দিক আহমদ, সাবেক পিপি শফিকুল আলম, বর্তমান পিপি খায়রুল কবীর রুমেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. অবণী মোহন দাস, রেজাউল করিম শামীম, সৈয়দ আবুল কাসেম।
এ ছাড়া যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট নান্টু রায়, অ্যাডভোকেট হায়দার চৌধুরী লিটন, ছাতক পৌর মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী। সাংগঠনিক সম্পাদক শংকর দাস, সিরাজুর রহমান সিরাজ, জুনেদ আহমদ। আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল করিম, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক নিগার সুলতানা কেয়া, দফতর সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী উজ্জ্বল, প্রচার সম্পাদক গোলাম সাবেরীন সাবু, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক শামীম আহমেদ চৌধুরী, শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক সীতেশ তালুকদার মঞ্জু।
তবে বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরও অনেক নেতা জেলা কমিটিতে স্থান পেয়েছেন বলে প্রচার হলেও এর সত্যতা পাওয়া যায়নি।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টায় জানান, ৭৫ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি শনিবার জানানো হবে।
প্রসঙ্গত দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর পর ২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে মতিউর রহমান সভাপতি ও ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
আওয়াম লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সম্মেলনে এ দুজনের নাম ঘোষণা করে তাদের একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেন। কিন্তু প্রায় দুই বছর এক মাস পর বৃহস্পতিবার পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুটি বলয়ে বিভক্ত হয়ে যাওয়ায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে বারবার পিছু হঠতে হয়েছে তাদের। দুই সদস্য দিয়ে দুই বছর অতিক্রান্ত হওয়ায় সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগে এক ধরনের স্থবিরতা দেখা দেয়।