শরীয়তপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

সিলেটের সময় ডেস্ক :

 

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে মো. ফারুক মোল্লা (৪৫) নামে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার ছোট ভাই ফরহাদ মোল্লা (৩৫)কে কুপিয়ে আহত করা হয়। আগুন দেওয়া হয় ১৫টি বসতঘরে।

গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার চর কুমারিয়া ইউনিয়নের গনি মোল্লা কান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফারুক মোল্লা বাহেরচর মোল্লা কান্দি গ্রামের মৃত আব্দুল হাই মোল্লার ছেলে। তিনি ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। 

নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের সখিপুর থানার চর কুমারিয়া ইউনিয়নে ফারুক মোল্লার বাড়ি। গতকাল বুধবার সন্ধ্যার দিকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফারুক মোল্লা ও তার ভাই সিরাজ মোল্লার বাড়িতে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।

এ সময় দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ফারুক মোল্লা ও তার ছোট ভাই ফরহাদ মোল্লাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। পরে ইউপি সদস্য সিরাজ মোল্লা ঘর থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।

তখন দুর্বৃত্তরা মোল্লা পরিবারের বসতঘরসহ ১৫টি ঘরে অগ্নিসংযোগ করে। পরে স্থানীয়রা ফারুক মোল্লা ও ফরাদ মোল্লাকে উদ্ধার করে ডামুড্ডা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফারুক মোল্লাকে মৃত ঘোষণা করেন এবং ফরহাদ মোল্লাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

 

নিহতের ভাই ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজ মোল্লা কালের কণ্ঠকে বলেন, আমরা কোনো দিন কারো ক্ষতি করিনি। আমাদের রাজনীতির ইতিহাসে নেই। কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের লোকজন আমার ভাইকে মেরে ফেললো। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা.আনিকা  বলেন, স্বজনরা মো. ফারুক মোল্লাকে গুরুতর আহত অবস্থায় নিয়ে এসেছিল।

তার শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। পরে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়। তার ভাই ফরহাদ মোল্লাকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। 

সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান বলেন, আমরা পুরোপুরি কর্ম বিরতিতে আছি। এ বিষয়ে কিছু জানি না। তাই কিছু বলতে পারব না।

এ বিভাগের অন্যান্য