বিয়ানীবাজারে সরকারী গাছ কাটার কারণ জানতে চাওয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা, ৩ জন আহত
সিলেটের সময় ডেস্ক :
সিলেটের বিয়ানীবাজারে সরকারি খাস জায়গায় গাছ কাটার কারণ জানতে চাওয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় তিনজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৫মার্চ) দুপুর দুইটার দিকে উপজেলার চারখাই ইউনিয়নের উত্তর চক্রবানী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন-বিয়ানীবাজার উপজেলার উত্তর চক্রবানী গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে সাইদুল ইসলাম (২৭), নজমুল ইসলাম(২২) ও সামাদুল ইসলাম(২০)। তাদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকলে কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় উত্তর চক্রবানী গ্রামের মৃত বলই মিয়ার ছেলে আজাদ উদ্দিন (৪২)সহ ৭জনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আহতদের বাবা মোহাম্মদ আলী সাথি (৬৫)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব দুলাল ধর ।
মোহাম্মদ আলী সাথি অভিযোগে উল্লেখ করে বলেন, গত ১৪ মার্চ সকালে আমাদের গ্রামের সুরমা নদীর পাড়ে সরকারী খাস জায়গা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির কয়েকটি বনজ গাছ কাটতে দেখি। গাছ কাটার কারণ জানতে চাইলে আমাকে তারা মারতে চাইলে প্রাণের ভয়ে চলে আসি। পরবর্তীতে শেওলা তহসিল অফিসের লোকজন বিষয়টি অবগত হয়ে সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে বিবাদীগনকে সরকারী গাছ কাটতে নিষেধ করেন। তসিল অফিসকে আমি বিষয়টি অবগত করেছি বলে তাদের মনে সন্দেহ জাগে এবং আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে প্রাণে মারতে পরিকল্পনা করে।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার(১৫মার্চ) আমার তিন ছেলে সাইদুল, সামাদুল ও নজমুল ইসলাম গ্রামের জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে নিজ বাড়ীতে ফেরার পথে দুপুর ২টার দিকে বিবাদীদের বাড়ীর সামনের রাস্তায় পৌঁছামাত্র পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আজাদ উদ্দিন গ্যাং ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে পথরোধ করে হামলা চালায়। এ সময় আশপাশের লোকজন চিৎকার শুনে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিন ছেলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করা হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে চারখাই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য মাহফুজ আহমদ চৌধুরী বলেন, দুটি পক্ষের ভাষ্য দুই ধরণের। আহতদের দাবি- সরকারি জায়গার ২২টি গাছ বিক্রির উদ্দেশ্যে কেটে ফেলে। গাছ কাটার কারণ জানতে চাওয়ায় তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। আর অপরপক্ষ নাসির উদ্দিনের দাবি-তার টমেটো খেত থেকে টমেটো না বলে পাড়ায় মারামারি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আহতদের পক্ষ থেকে গাছ কাটার বিষয়টি আগেই আমাকে অবগত করে এবং ওই জায়গা পরিদর্শন করে গাছ কাটার প্রমাণ পাওয়া যায়। দুটি পক্ষই থানায় অভিযোগ দিয়েছে। আমরাও বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।
এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব দুলাল ধর বলেন, দুটি পক্ষেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।