মালদ্বীপে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
সিলেটের সময় ডেস্ক :
মালদ্বীপে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিবসটি উপলক্ষ্যে মালদ্বীপের বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে দূতাবাসের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের হাইকমিশনার রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্লোবাল রিচ মালদ্বীপ প্রাইভেট লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী সিআইপি মোহাম্মদ সোহেল রানা।
এদিন পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে দিনের অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। পরে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া বাণী পাঠ করা হয়।
দিনটির তাৎপর্য ও গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে হাইকমিশনের প্রথম সচিব মো. সোহেল পারভেজ স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এরপর প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ দুলাল মাদবর। এছাড়া শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা বিষয়ক একটি প্রামাণ্যচিত্র অনুষ্ঠানে প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হাইকমিশনার রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ তার বক্তব্যে শুরুতে ১৯৪৭ সালের এই দিনে বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করার আন্দোলনে যেসব শহীদ তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
হাইকমিশনার বলেন, মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম, এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধিকার আন্দোলন শুরু হয় এবং পরে স্বাধীনতার এ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বাংলাদেশের মহান স্থপতি এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তিনি মহান ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বাংলা ভাষার মর্যাদা বৃদ্ধি এবং মাতৃভাষা সংরক্ষণে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ উল্লেখ করেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভাষা আন্দোলন, দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে মাতৃভাষার চর্চা ও বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশি শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সবশেষে ভাষা শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দেশ ও জাতির মঙ্গলের জন্য দোয়া করা হয়। অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি অংশগ্রহণ করেন। পরে নৈশভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।