ছাত্রনেতাকে গুলি করার সময় রিভালভারসহ সন্ত্রাসী আটক

সিলেটের সময় ডেস্ক :

 

জয়পুরহাট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম হোসেনকে গুলি করার সময় ফরিদপুরের বাসিন্দা রুবেল হোসেন (৩৫) নামে ১ সন্ত্রাসীকে রিভলবার ও মোটরসাইকেলসহ আটক করেছে নেতাকর্মীরা।

গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে পাঁচবিবি পৌর শহরের সুপার মার্কেটের সম্মুখে এ ঘটনা ঘটে।

আটক ব্যক্তি ফরিদপুরের সদর উপজেলার কৃষ্টপুর গ্রামের শাহাদাৎ মোল্লার ছেলে।

জানা গেছে, সোমবার রাত ১০টা ৫ মিনিটের সময় ছাত্র নেতা শামীম হোসেন পাঁচবিবি পৌর শহরের সুপার মার্কেটের সামনে একটি কাপড়ের দোকানে নেতাকর্মীদের নিয়ে গল্প করছিলেন। এ সময় হেলমেটে পড়িয়ে দুটি মোটরসাইকেলে করে ৪ জন দুর্বৃত্ত শামীমকে লক্ষ করে গুলি ছোড়েন। তবে তাদের সেই গুলি লক্ষ ভ্রষ্ট হলে অল্পের জন্য বেঁচে যান ওই নেতা।

এ সময় তার সঙ্গে বসে থাকা অন্যান্য নেতাকর্মী ও বাজারের লোকজন ধাওয়া করে রুবেল হোসেন নামে একজনকে আটক করে পুলিশে দেন। পরে তাকে পুলিশ হেফাজতে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তবে কি কারনে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা জানতে ভুক্তভোগী ছাত্রনেতা শামীম হোসেনের মুঠোফোনে বারবার ফোন দিলেও সেটি বন্ধ থাকায় মন্তব্য জানা যায়নি।

জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মো. আব্দুল্লাহ আল মনসুর জানান, ভর্তি করানো রুবেল হোসেনের চোখে আঘাত ছিল। এছাড়া পুরো শরীরে মারধরের চিহ্ন ছিল। তবে খুব বেশি গুরুতর আঘাত নয়।

এ বিষয়ে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ময়নুল হোসেন বলেন, ‘স্থানীয়দের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে জনতার হাতে ধৃত রুবেল নামে একজনকে আহত অবস্থায় আটক করি। পরে ওই রাতেই চিকিৎসার জন্য তাকে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়েছি। বাকী ৩ সন্ত্রাসীকে আটকের জন্য পুলিশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।’

উল্লেখ্য, হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে আটক ও ভর্তি হওয়া ব্যক্তির নাম রুবেল হোসেন লেখা থাকলেও স্থানীয় সংবাদকর্মীদের কাছে কোয়েল হোসেন নামে পরিচয় দিয়েছেন।

এ বিভাগের অন্যান্য