পর্নোগ্রাফি চক্রের ফাঁদে ১২ লাখ টাকা খোয়ালেন প্রবাসীর স্ত্রী
সিলেটের সময় ডেস্ক :
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পর্নোগ্রাফি চক্রের ফাঁদে পড়ে প্রায় ১২ লাখ টাকা খুইয়েছেন এক প্রবাসীর স্ত্রী। এ ঘটনায় ছয়জনের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী। তাদের মধ্যে দুই আসামিকে গতকাল বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করে আজ বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠায় পুলিশ।
গতকাল রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী রোজভ্যালি গার্ডেন থেকে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার কাকলী বেগম (৩২) ও পাশের জেলা গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার তানিয়া খানম (৩২)।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের এক মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রীর বেয়াইন হন গ্রেপ্তার তানিয়া খানম। আত্মীয়তার সূত্রে ওই প্রবাসীদের বাড়িতে যাতায়াত করতেন তিনি। একপর্যায়ে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে তানিয়া খানম প্রবাসীর স্ত্রীর মোবাইল ফোন থেকে ব্যক্তিগত ভিডিও নিজের মোবাইলে নিয়ে নেন। পরে সেই ভিডিও সম্পাদনা করে অশ্লীল ভিডিও তৈরি করেন।
এরপর থেকে ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে প্রবাসী স্ত্রীর কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও বিকাশের মাধ্যমে ১১ লাখ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় পর্নোগ্রাফি প্রতারক চক্র। তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে গত ২২ ডিসেম্বর বোয়ালমারী থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী।
মামলার পরে বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম দেওয়ানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার রোজভ্যালি পার্ক থেকে কাকলী বেগম ও তানিয়া খানমকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেয়ে আসামি বদিউল আলম তুহিন পালিয়ে যান। তুহিন কুমিল্লার মুরদনগর উপজেলার বাসিন্দা।
মামলার অপর আসামিরা হলেন বোয়ালমারী উপজেলার সেলিম খান ওরফে সুমন শিকদার (৩৩), তার স্ত্রী ফারজানা বেগম (৩২) ও একই উপজেলার মুজাহিদ (২৫)।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘তানিয়া খানম সম্পর্কে আমার বেয়াইন হন। সেই সম্পর্কের জেরে আমার শ্বশুরবাড়ি এসে মোবাইল ফোন থেকে আমার ব্যক্তিগত ভিডিও নিয়ে সুপার এডিটিং করেন। এরপর থেকে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আমার কাছ থেকে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও বিকাশের মাধ্যমে ১১ লাখ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। এখন আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করলে ২২ ডিসেম্বর থানায় ৬ জনের নামে মামলা করি।’
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম রসুল বলেন, পর্নোগ্রাফি আইনে হওয়া মামলায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।