শেখ হাসিনাকে দ্রত ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে সরকার
সিলেটের সময় ডেস্ক :
শেখ হাসিনাকে দ্রত দেশে ফিরিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনের মধ্যে থেকে যতটা দ্রুত সম্ভব শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত আনার বিষয়ে সরকার অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে। শেখ হাসিনাকে ফেরত আনতে আইনগত প্রক্রিয়া জোরেশোরে চলছে। তবে আইনি প্রক্রিয়ার জন্য একটা প্রয়োজনীয় সময়ের ব্যাপার আছে। আমরা বারবার বলছি- শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত আনতে চাই। আশা করছি, উনাকে দ্রুত দেশে ফেরত এনে বিচারের সম্মুখীন করা সম্ভব হবে।’
শেখ হাসিনার শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা দেখেছি গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার অপরাধগুলো কতটা ভয়াবহ ছিল। পুরো পৃথিবী এখন তার অপরাধগুলো দেখতে পাচ্ছে।’
অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত গুম কমিশনের রিপোর্টের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে প্রায় ৩,৫০০ মানুষ গুম হয়েছে। আইন-বর্হিভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে হাজার হাজার মানুষকে। এ ছাড়া জুলাই বিপ্লবে প্রায় দেড় হাজার ছাত্র-জনতা প্রাণ হারিয়েছে।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা দেখেছি শেখ হাসিনার শাসনামলে শাপলা চত্বরে নির্বিচার হত্যাকান্ড। মাওলানা সাঈদীর মৃত্যুর পরের হত্যাকান্ডও আমরা দেখেছি।’
তিনি বলেন, বিএনপি বারবার বলছে তাদের ৫০ থেকে ৬০ লাখ নেতাকর্মীর নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ মামলা ছিল মিথ্যা। ৫০ লাখ মামলা যাদের নামের হয়েছে তাদের পরিবার অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
শেখ হাসিনার ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতি অনুসন্ধানের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, ‘সরকার তার (শেখ হাসিনা) দুর্নীতির বিষয়ে গভীরভাবে অনুসন্ধান করছে। শেখ হাসিনা কী পরিমাণ চুরি করেছেন বাংলাদেশের মানুষ তা জানতে চায়। শেখ হাসিনা কীভাবে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে দেশে একটা চোরতন্ত্র জারি রেখেছিল তার ভয়াল চিত্র শ্বেতপত্রের প্রতিবেদনে দেখা গেছে। প্রতি বছর ১ হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার পাচার এবং ব্যাংকগুলো থেকে কীভাবে টাকা লুট হয়েছে তা সবার জানা।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘শেখ হাসিনা নিজে বলেছিলেন, তার পিয়ন ৪০০ কোটি টাকার মালিক। সেই পিয়নের ব্যাংক তহবিলে ৬২৬ কোটি টাকা লেনদেন হওয়ার তথ্য বেরিয়ে এসেছে।’