বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসতে পারবে না
সিলেটের সময় ডেস্ক :
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণে আইনগত কোনো বাধা নেই, তবে জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও নিপীড়নের বিচার না হওয়া পর্যন্ত ছাত্র-জনতা তাদের কোনোভাবেই নির্বাচনে আসতে দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন।
আজ রবিবার দুপুরে রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ সাতমাথা এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।আজ রবিবার দুপুরে রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ সাতমাথা এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেছেন, ‘আইনি দিক থেকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধা না থাকলেও ফ্যাসিবাদী গণহত্যাকারী মানবতাবিরোধী দলটিকে কোনোভাবেই বাংলাদেশে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। এ জন্য যদি আমাদের আবারও রক্ত দিতে হয়, আমরা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। তারপরও কোনো আওয়ামী লীগকে আর পুনর্বাসিত হতে দেওয়া হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের মানুষের ওপর যে গণহত্যা চালিয়েছে, তারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করে যে ভয়ংকর পাপ করেছে সেই পাপ থেকে মুক্তির উপায় এখন পর্যন্ত অবলম্বন করেনি। আওয়ামী লীগের বিচার এখনও হয়নি, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের সহযোদ্ধাদের হুমকি দিচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় খুনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। সে কারণে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের মানুষ আর কোনোদিন গ্রহণ করবে না। তাদের প্রতিরোধ করার জন্য যা করার তাই করা হবে।’
নাগরিক কমিটির এই নেতা বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক অবস্থায় আসেনি। আমরা নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে বারবার অন্তবর্তীকালীন সরকারকে জানিয়েছি। পুলিশ এখনও তাদের নৈতিক শক্তিতে ফিরে যেতে পারেনি। আমরা অভ্যুত্থানের পর দেখেছি, দেশের থানাগুলো একেবারে ডিসফাংশনাল ছিল। এখন অবশ্য থানাগুলো কিছু কাজ করছে, কিন্তু থানাগুলোতে অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের যে মামলাগুলো হয়েছে সেটা নিয়ে একটা পক্ষ মামলাবাজির চেষ্টা করছে। সেখানে পুলিশের নির্লিপ্ততা এবং নীরব থাকার প্রবণতা লক্ষ্য করছি আমরা। এটা শহীদদের যে চেতনা, সুষ্ঠু স্বাভাবিক বিচার প্রক্রিয়ায় বাধা হিসেবে আমরা দেখছি।’
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে আখতার হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ চায় নতুন রাজনৈতিক শক্তির নেতৃত্বে থাকবে তরুণরা। আমরা ছাত্র-তরুণ মিলে নয়া রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠার কথা বলছি, নাগরিক কমিটি যে ভাষা উৎপাদন করছে সেই ভাষার ভিত্তিতে দল গঠিত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের সব স্তরের মানুষ চান, নতুন একটি রাজনৈতিক শক্তির আবির্ভাব ঘটাতে। আমরা বিশ্বাস করি, সামনের দিনে যারা বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে- তারা মানুষের দিশারী হয়ে থাকবে।’