বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেট জেলা কমিটি থেকে এক সদস্যের পদত্যাগ
সিলেটের সময় ডেস্ক :
কমিটি ঘোষণার একদিনের মাথায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেট জেলা আহ্বায়ক কমিটির এক সদস্য পদত্যাগ করেছেন। সিলেট এমসি কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও কমিটির সদস্য জুয়েল আহমদ শনিবার বিকেলে তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। পাশাপাশি নানা অভিযোগ-অনুযোগও তুলে ধরেন।
বৃহস্পতিবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেল ২৭২ সদস্যের সিলেট জেলা আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেন। কমিটিতে সিলেট মদন মোহন কলেজের ছাত্র আকতার হোসেনকে আহ্বায়ক, সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নুরুল ইসলামকে সদস্যসচিব, এমসি কলেজের শিক্ষার্থী নাইম শেহজাদকে মূখ্য সংগঠক ও সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী মালেকা খাতুন সারাকে মুখপাত্র রাখা হয়েছে। কমিটিতে ১২ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক, ১৭ জনকে যুগ্ম সদস্যসচিব, ১১ জনকে সংগঠক ও ২২৯ জনকে সদস্য করা হয়েছে।
পতদ্যাগী সদস্য জুয়েল আহমদ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন, ‘আমি স্বজ্ঞানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেট জেলা কমিটির সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করছি। আজকের পর থেকে অফিশিয়ালি এটার সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নেই।’
জুয়েল সিলেটে বিগত আন্দোলন নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘কিছুদিন আগে জানানো হলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি হবে। আগের আগ্রহ থেকে নাম দিলাম। কয়েকটি প্রোগ্রামে গেলাম। জানানো হলো এসব প্রোগ্রাম থেকেই অ্যক্টিভদের কমিটিতে রাখা হবে। ভালো কথা, আমিও গেলাম, মিছিল মিটিংয়ে যোগ দিলাম। সব মিটিং মিছিলে দেখা যেতো, ২০-২৫ জনের বেশি কেউ থাকতো না।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘প্রকৃতপক্ষে বাকি সব নেতারা নিজেরাই আগে সিলেক্ট করে রেখেছিলেন, আমার ধারণা। এছাড়াও অনেকে আছেন, যারা সো কল্ড জুলাই বিপ্লবী নেতা। যাদের অনেকেই আবার ৫ আগস্ট পরবর্তী নেতা। ৃচ্যালেঞ্জ দিয়ে বললাম, অনেকেই আছেন, যারা নেতৃত্ব কী জিনিস, এটাই বুঝেন না। তাহলে তারা কমিটিতে আসলেন কিভাবে? এই যে মুখ দেখে জিলাপী বিতরণের মতো। এরপর দেখা গেলো, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, রুয়েটের শিক্ষার্থীরা সিলেট জেলা কমিটিতে নাম। আল হারামাইন হাসপাতালের একজনও দেখলাম। হাউ ইজ ইট পসিবল? ৃআবার অছাত্র। ঠান্ডা মাথায় ভাবলাম।
তিনি আরও লেখেন, ‘আমাদেরকে আসলে নেতৃত্ব প্রদানের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না, বরং নিজেরা ব্যানারের সামনে থেকে আমাদেরকে ব্যবহার করা ছাড়া কিছুই নাই। এরপর আরেকটা জিনিস ফাইন্ড আউট করলাম। এই জেলা কমিটি মূলত নির্দিষ্ট কয়েকজনের পছন্দের কমিটি। তাছাড়া বাংলাদেশ দুইটা ছাত্র সংগঠনের নিয়ন্ত্রণেই এই কমিটি। একটা হলো, কিছুদিন আগে বিলুপ্ত হওয়া, আরেকটা ২০১৮ তে কোটা আন্দোলনের মাধ্যমেই জন্মলাভ করা’।
জুয়েল জানিয়েছেন, তিনি লিখিতভাবে কমিটির কাছে পদত্যাগ জমা দেবেন।
এ বিষয়ে সিলেটের নতুন আহ্বায়ক আকতার হোসেন পদত্যাগের বিষয়ে অবগত নয় উল্লেখ করে জানান, কারও ব্যক্তিগত সমস্যা থাকতে পারে। আমাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। কমিটিতে অছাত্র বা বাইরের কেউ যুক্ত হলে তা সংশোধনের সুযোগ রয়েছে।’