অভিষেক-ঐশ্বরিয়া দুজনের মধ্যে বিস্তর ফারাক: অভিনেত্রী

বিনোদন ডেস্ক ঃ

 

বলিউড অভিনেতা অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিস্তর সমালোচনা চলছে। এ সমালোচনার যেন শেষ নেই। প্রায় প্রতি দিনই তাদের নিয়ে নতুন করে গুঞ্জন ছড়ায়। কেউ কেউ বলছেন ডিভোর্স অবধি গড়িয়েছে।

যদিও নিজেদের টানাপোড়েন সম্পর্ক নিয়ে এখনো কোনো কথা বলেননি অভিষেক ও ঐশ্বরিয়া। কিন্তু তাদের নিয়ে চুপ নেই নেটিজেনরা। এমনকি বলি ইন্ডাস্ট্রির তারকারাও। এবার মুখ খুললেন অভিনেত্রী তোনাজ ইরানি। তিনি বলেছেন, অভিষেক নাকি খুবই প্রাণবন্ত এবং শুটিং সেটে হাসিঠাট্টায় মেতে থাকেন। খুনসুটিতেও তিনি পারদর্শী। অন্যদিকে ঐশ্বরিয়া খুবই গম্ভীর ও  মার্জিত স্বভাবের।

আনন্দবাজার প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালে ‘কুছ না কহো’ ছবিতে সাবেক বিশ্বসুন্দরী অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া ও অভিনেতা অভিষেকের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন তোনাজ ইরানি। সেই তোনাজই জানিয়েছেন কোন কোন বিষয়ে দুজনের মধ্যে বিস্তর ফারাক ছিল? অভিষেক নাকি খুবই প্রাণবন্ত। শুটিং সেটে হাসিঠাট্টায় মেতে থাকেন। খুনসুটিতেও তিনি পারদর্শী। অন্যদিকে ঐশ্বরিয়া খুবই গম্ভীর ও মার্জিত স্বভাবের। নিজের কাজের প্রতি গভীর নিষ্ঠা তার।

তোনাজ ইরানি বলেন, অভিষেক খুব রসিক মানুষ। সবার সঙ্গে খুনসুটি করেন। আমি পৌঁছানোর আগে সবার পেছনে লাগছিলেন তিনি। আমি যাওয়ার পরে বৈভবী মার্চেন্ট (কোরিওগ্রাফার) বললেন, এবার অভিষেকের সঙ্গে কোনো খুনসুটি করা যাক! পুরো বিষয়টিই খুব মজার ছিল।

তিনি বলেন, ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে দুটি ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। সাবেক বিশ্বসুন্দরী নাকি স্বভাবে বেশ গম্ভীর ও স্বল্পভাষী। অভিনেত্রী বলেন, অভিষেকের পুরো বিপরীত ঐশ্বরিয়া। দুটি ছবিতে আমি ঐশ্বর্যার সঙ্গে কাজ করেছি। তিনি খুবই সুন্দরী। খুবই গম্ভীর প্রকৃতির মানুষ। ওর সঙ্গে সময় কাটানোর পর নিজেকে আয়নায় দেখলে আমি সতর্ক হয়ে যেতাম। খুবই সুন্দর, ওর সৌন্দর্যে হারিয়ে যাওয়া যায়। ওকে পুরো পুতুলের মতো দেখতে লাগে।

উল্লেখ্য, ‘গুরু’ ছবিতে অভিনয় করার সময় থেকে প্রেম শুরু বচ্চন দম্পতির। ২০০৭ সালে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন ঐশ্বর্যা ও অভিষেক।

এ বিভাগের অন্যান্য