হাতে নেই হিট সিনেমা, তবুও বিশ্বের সেরা ধনীর তালিকায় জেমি গের্টজ
বিনোদন ডেস্ক ঃ
ক্যারিয়ারে কোনো ব্যবসাসফল সিনেমা নেই। তবু বিশ্বের ধনী অভিনেত্রীদের তালিকার শীর্ষে তার নাম রয়েছে তার। তিনি আমেরিকান অভিনেত্রী জেমি গের্টজ। এ অভিনেত্রীর মোট সম্পদ ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। হলিউডের তিন জনপ্রিয় তারকা টেলর সুইফট, রিহানা ও সেলেনা গোমেজ- এ তিনজনের সম্পদ এক করলেও জেমিকে ছোঁয়া সম্ভব নয়। অভিনয়ে তেমন সাফল্য না পেলেও সম্পদের পরিমাণে ছাড়িয়ে গেছেন সবাইকে।
১৯৬৫ সালে শিকাগোতে জন্ম নেওয়া জেমি অভিনয় শুরু করেন ১৯৮১ সালে। তার প্রথম সিনেমা ‘এন্ডলেস লাভ’। ১৯৮৭ সালে ‘লেস দ্যান জিরো’ সিনেমায় অভিনয় করে কিছুটা পরিচিতি পান। এতে তিনি রবার্ট ডাউনি জুনিয়রের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন। একই বছরে ভ্যাম্পায়ার মুভি ‘দ্য লস্ট বয়েজ’-এ কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন।
তবে প্রধান অভিনেত্রী হিসাবে তিনি সাফল্যের দেখা পাননি। পরে সিদ্ধান্ত বদলে আবারও সহযোগী চরিত্রগুলোতে কাজ করতে থাকেন। নব্বই দশকে ‘টুইস্টার’র মতো সুপরিচিত সিনেমা এবং ‘অ্যালি ম্যাকবিল’ টিভি শোতে অভিনয় করেন। ২০২২ সালের ‘আই ওয়ান্ট ইউ ব্যাক’-এ একটি ক্যামিও করেছেন তিনি।
এখন প্রশ্ন আসতেই পারে, অভিনয়ে সাফল্য না পেয়েও ধনীদের তালিকায় শীর্ষস্থানে কীভাবে এ অভিনেত্রীর নাম এলো। জেমি একজন সফল মহিলা ব্যবসায়ী। তিনি তার ব্যবসায়িক বিনিয়োগের কারণে বিশ্বের সেরা ধনী অভিনেত্রী হয়ে উঠেছেন। ১৯৮৯ সালে জেমি বিলিয়নেয়ার ব্যবসায়ী টনি রেসলারকে বিয়ে করেন। দুজন মিলে মিলওয়াকি ব্রুয়ার্স বেসবল দল এবং আটলান্টা হকস বাস্কেটবল দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। এরই পাশাপাশি গের্টজের বিভিন্ন ব্যবসায় উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ রয়েছে, যা তার সম্পত্তিকে ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী অভিনেতা টাইলারের সম্পত্তিও জামির কাছে এখন সমুদ্রে এক গ্লাস জলের মতো। টাইলার তার নিজস্ব স্টুডিও ও মাদিয়া ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য বিখ্যাত। যার মাধ্যমেই তিনি ১.৪ বিলিয়ন ডলারের মালিক হয়েছেন। কিন্তু সেই টাইলার থেকেও পাঁচগুণ বেশি সম্পদের মালিক এখন জেমি।
তথ্য মতে, বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী পাঁচ তারকা হলেন জোমি গের্টজ, টেলর সুইফট, রিহানা, সেলেনা গোমেজ এবং ম্যাডোনা। আর এ পাঁচজনই অভিনয় ছাড়া অন্যান্য কাজ থেকে এই বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন। জেমি ব্যবসায়িক বিনিয়োগের মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করলেও টেলর সুইফট, রিহানা এবং সেলেনা গোমেজ গান এবং মেকআপ ব্র্যান্ড থেকে তাদের সম্পত্তির প্রাচুর্য বানিয়েছেন।