পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোর সত্যতা স্বীকার কাম্য : ক্রীড়া উপদেষ্টা
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমদ মারুফ।
বৈঠকে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের মধ্যে আর্থ-সামাজিক যে কোনো সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সামাজিক এবং দেশীয় প্রেক্ষাপট বিবেচনায় পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোর সত্যতা স্বীকার কাম্য।’
আজ (সোমবার) সচিবালয়ে উপদেষ্টার অফিসকক্ষে বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে শিক্ষা, সাংস্কৃতিক বিনিময়, আইডিয়া বিনিময়, পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন, সরাসরি ফ্লাইট চালু, বাণিজ্য সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের শুরুতে উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ পুনরুজ্জীবিত করা একান্ত প্রয়োজন।
রাষ্ট্রদূত পারস্পরিক সম্পর্ক ও ব্যাবসায়িক স্বার্থে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘আমরা সঠিক পথে এগোব এবং কাজ করব। ব্যবসা-বাণিজ্যের মতো ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করা, মানুষে মানুষে যোগাযোগ বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করবে তার সরকার।’ এ সময় তারা আঞ্চলিক সংস্থার গুরুত্বের ওপর গুরুত্ব দেন এবং এ প্রেক্ষাপটে সার্কের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়েও আলোচনা করেন।
কমনওয়েলথের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলকে অভিনন্দন জানিয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের ফলে জনগণের মধ্যে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের ব্যাপক আশা-আকাঙ্ক্ষার জন্ম নেয়। এ ব্যাপারে এখন প্রায় সবাই একমত যে, বাংলাদেশকে একটি উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য রাষ্ট্রীয় সংস্কার অপরিহার্য। জনমনে রাষ্ট্র সংস্কারের যে গভীর আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি হয়েছে, সেই সংস্কারকাজ সম্পন্ন করার দায়িত্ব নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
কমনওয়েলথের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘আমরা সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত আছি। শিক্ষা, সংষ্কৃতি, স্বাস্থ্য, বাণিজ্য প্রসারসহ নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’ সাম্প্রতিক সময়ে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের নারী ফুটবলদল শিরোপা জেতায় বাংলাদেশ দলের প্রশংসা করেন তিনি।
এ সময় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী এবং স্থানীয় সরকারের সরকার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।