ভয়ে আত্মীয়ের বাসায় লুকিয়ে ছিলেন আমু
গ্রেপ্তারের ভয়ে এক আত্মীয়ের বাসায় লুকিয়ে ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর আমুর বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ ১৫টি মামলা রয়েছে।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর পশ্চিম ধানমণ্ডি এলাকা থেকে আমুকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
তিনি বলেন, পশ্চিম ধানমণ্ডি এলাকার এক আত্মীয়ের বাসায় তিনি লুকিয়ে ছিলেন।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে আমির হোসেন আমু লুকিয়ে আছেন সন্দেহে রাজধানীর ভাটারা এলাকায় একটি ভবন ঘেরাও করেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় চার ঘণ্টা ভবনটি ঘেরাওয়ের পর সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি।
সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় মহাজোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তার ঝালকাঠির বাড়িতে বিক্ষুব্ধ জনতা হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। ১৮ আগস্ট বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) নির্দেশনায় তার ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে তার পরিবারের সদস্য ও তাদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিত করা হয়।