মৃত প্রতিবন্ধীর ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে

সিলেটের সময় ডেস্ক :

 

ঢাকার ধামরাই উপজেলায় মৃত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে জীবিত দেখিয়ে তিন বছর ধরে প্রতিবন্ধী ভাতা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ছবুর আলী উপজেলার বাইশাকান্দা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি দক্ষিণ আনালিয়াখোলা গ্রামের মৃত হজা মিয়ার ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণ আনালিয়াখোলা গ্রামের মৃত তাইজ উদ্দিন আলীর ছেলে আলাল মিয়া শারীরিকভাবে পঙ্গু হওয়ায় ২০১৬ সালে তাকে সমাজসেবা অফিস থেকে একটি অসচ্ছল প্রতিবন্ধী কার্ড করে দেওয়া হয়। সেই থেকে আলাল প্রতি তিন মাস পরপর কৃষি ব্যাংক ধামরাই শাখায় টিপসই দিয়ে টাকা তুলতেন। ৫ বছরে তিনি ৩১ হাজার ২৫০ টাকা তুলেন। এরপর ২০২০/২১ অর্থ বছরে এসে টাকা মোবাইল নম্বরে পাঠানো হবে বললে আলাল মিয়া তার চাচাতো ভাই স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছবুর আলী মোবাইল নাম্বার দেওয়া দেন, তখন থেকে ভাতার টাকা ওই নাম্বারে পাঠানো হতো।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মৃত আলাল মিয়ার স্ত্রী চন্দ্রবানু ও ছেলে হাসান আলী জানান, ‘আমাগো অনেক আগেই ছবুর জানাইছে যে, আলাল মিয়ার মৃত্যুর পর ভাতা কার্ড বন্ধ করে দিয়েছে, তাই আমরা আর খবর নেইনি। কয়দিন আগে রাশেদা ম্যাডাম আইছিল তখন জানলাম আমাগো কার্ডে টাকা আসে, কিন্তু তিন বছর ধরে ছবুর আলী আমাগো টাকা দেয় না। ’

ইউনিয়ন সমাজকর্মী রাশেদা বেগম বলেন, আলাল মিয়ার নামে একটি অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড রয়েছে, আমি কয়েকদিন আগে এলাকায় তদন্তে গিয়েছিলাম, তখন চন্দ্রবানুর কাছে আলাল মিয়ার কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান- ছবুর তাদের জানিয়েছেন আলাল মিয়ার কার্ডটি বন্ধ করে দিয়েছে। তখন আমি ছবুর আলীকে ফোন করলে তিনি আমাকে জানান তিনি টাকা পান না। তখন আমার পরিচয় দিলে সে ফোন কেটে দেয়। অথচ আমি ছবুর আলীর মোবাইলে ৩৯ মাসে ১৩ বার ৩১ হাজার ৬৫০ টাকা পাঠিয়েছি, মানুষ কী করে পারে প্রতিবন্ধীদের টাকা আত্মসাৎ করতে।

এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার আব্দুল খালেক বলেন, আলাল মিয়া অনেক আগেই মারা গেছেন অথচ সেই দিন শুনলাম তার ভাতা কার্ড এখনো বহাল রয়েছে এবং ভাতার টাকা নাকি ছবুর আলী গোপন রেখে আত্মসাৎ করেছে।

এ বিষয় ছবুর আলী জানায়, আলাল মিয়া মারা যাওয়ার পর তিন বছরে যত টাকা আমার মোবাইলে আসছে তা আমি আলাল মিয়ার স্ত্রীকে দিয়ে দিয়েছি।

এ বিভাগের অন্যান্য