যেভাবে হত্যা করা হয় ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের নতুন প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে। প্রথমে নিশ্চিত না করলেও আজ শুক্রবার ইসরায়েল জানিয়েছে, তাদের অভিযানে নিহত হয়েছেন হামাসের এই শীর্ষ নেতা। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি বর্ণনা করেছেন কীভাবে হত্যা করা হয়েছে তাকে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সিনওয়ার ২০১৭ সাল থেকে গাজায় হামাসের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ইসরায়েল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতে, ৭ অক্টোবরের হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ তথা মূল পরিকল্পনাকারী তিনিই ছিলেন। ওই হামলায় হামাসের বন্দুকধারীরা প্রায় এক হাজার ২০০ জনকে হত্যা করেছিলো এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে এসেছিলো।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে যে বুধবার গাজার রাফাহ শহরের একটি ভবনে অভিযান চালানো হয়েছিলো। ধারণা করা হয়েছিলো যে ওই ভবনটি হামাসের সিনিয়র নেতারা ব্যবহার করেন। সেই অভিযানে তিনজন নিহত হন, সিনওয়ার তাদের মাঝে একজন।
ওই স্থানে কোনও জিম্মি ছিল না। সুরক্ষার স্বার্থে সিনওয়ার ভ্রমণের সময় জিম্মিদের সঙ্গে রাখে বলে গুঞ্জন ছিল।
ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেন, তিনজন বন্দুকধারীকে এক ঘর থেকে আরেক ঘরে দৌড়াতে দেখেছে ইসরায়েলি সেনারা। একবার গুলি চালানো হলে তারা বিচ্ছিনি হয়ে যান ও ইয়াহিয়া সিনওয়ার একা ভবনে প্রবেশ করে।
হ্যাগারি আরও বলেন, ড্রোন দিয়ে দেখা গেছে, সিনওয়ার একটি চেয়ারে বসে আছেন। ইসরায়েলি সেনারা ভবনে প্রবেশ করে নিহত এই হামাস প্রধানকে একটি ভেস্ট, বন্ধুক ও ৪০ হাজার শেকেলসহ দেখতে পায়।
ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করতে কয়েক ঘণ্টা দেরি হয়েছিলো কারণ ইসরায়েল ইয়াহিয়া সিনওয়ারের দাঁতের রেকর্ড ও আঙ্গুলের ছাপ মিলিয়ে দেখছিলো। ইসরায়েলের কাছে সিনওয়ারের জেনেটিক ডেটা সংরক্ষিত আছে। কারণ তিনি তার জীবনের কয়েক দশকই কাটিয়েছেন ইসরায়েলের কারাগারে।