আমি পেশাদার সাংবাদিক, কোনো দিন সরকারের সুবিধা নেইনি
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করে যুবক ফজলুকে হত্যার অভিযোগে রাজধানীর ভাসানটেক থানায় করা মামলায় ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহর আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
শুনানি চলাকালে শ্যামল দত্ত আদালতকে বলেন, আমি একজন পেশাদার সাংবাদিক। আমি কোনো দিন সরকারের সুবিধা নেইনি।
শুনানিতে বিএনপিপন্থী আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী শ্যামল দত্তের উদ্দেশে বলেন, তিনি কেন দাড়ি কাটলেন? মোজাম্মেল হক বাবুর সঙ্গে কেন পালাতে গেলেন। তিনি সাংবাদিক জাতির কলঙ্ক। তিনি ‘র’-এর এজেন্ট।
এদিন সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. সাহিদুল বিশ্বাস তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। এ সময় আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন।
এর আগে গতকাল সোমবার ভোর ৬টার দিকে ধোবাউড়া উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ও পোড়াকান্দুলিয়া সীমান্তের মাঝামাঝি এলাকা থেকে স্থানীয়রা শ্যামল দত্ত ও মোজাম্মেল হককে আটক করা হয়। এরপর তাদের ধোবাউড়া থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
গত ১১ সেপ্টেম্বর নিহত ফজলুর ভাই সবুজ বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ১৬৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। পরে এ মামলায় শ্যামল দত্তকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। এ মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ভাসানটেক থানাধীন এলাকায় বিজয় মিছিল করতে গেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে ফজলু মারা যান।